আলিপুরদুয়ার, 14 সেপ্টেম্বর: কোলের দুই শিশু সন্তানকে রেখে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা বধূর ৷ দুই শিশু সন্তানকে ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে কুয়োয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন বধূ (25) ৷ ঘটনাটি ঘটেছে অসম-বাংলা সীমানার বারোবিশার পূর্ব চকচকায় ৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গৃহবধূ নিজের দুই শিশু সন্তান কে ঘরের বারান্দায় বসিয়ে রেখে, কেউ কিছু বুঝে উঠবার আগেই বাড়ির কুয়োতে ঝাঁপ দেন ৷ তাকে কুয়ো থেকে উদ্ধার করতে তার ছোট ননদ বধূর উদ্দেশ্যে দড়ি ছুড়ে দেয় ৷ কিন্তু তিনি সেই দড়ি ধরতে অস্বীকার করেন ৷
এদিকে চিৎকার চ্যাঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন গৃহবধূ জলে তলিয়ে গিয়েছেন ৷ এরপর খবর দেওয়া হয়ে বারোবিশা দমকল কেন্দ্রে ৷ দমকল কর্মীরা কয়েক ঘণ্টার চেষ্টায় পাম্পের সাহায্যে কুয়োর জল বের করে ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করেন ৷ কামাখ্যাগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করে চিকিৎসক ৷ এর আগেও ওই গৃহবধূ গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ৷ তবে এদিন ঠিক কী কারণে বধূ আত্মহত্যা করেন, তা পরিবারের কেউ সঠিক ভাবে বলতে পারেনি ৷
গৃহবধূর স্বামী দীপক বর্মন বলেন, "সকালে সব ঠিকই ছিল ৷ আমাকে খাওয়ার কথা বলল ৷ আমি খাওয়া-দাওয়া করে কাজে গেলাম ৷ কিছুক্ষণ পরেই শুনি এরকম ঘটনা ৷ বাড়ির থেকে আমাকে ফোন করে ঘটনাটি জানায় ৷ আমার দু'টি শিশু আছে ৷ একজনের বয়স দেড় বছর, আরেকজনের আট মাস ৷ কেন এমন করল বুঝে উঠতে পারছি না ৷ লকডাউনের দু'মাস আগে আমরা প্রেম করে বিয়ে করেছিলাম । আগে আমি বাইরে কাজ করতাম ৷ সাত মাস হল বাড়িতে এসেছি, এখন এখানেই কাজ করি ৷"
প্রতিবেশী আত্মীয় নমিতা বর্মন বলেন, "আমরা আজ একটা অনুষ্ঠান করব ৷ সেই অনুষ্ঠানেই ব্যস্ত ছিলাম ৷ হঠাৎ চিৎকার শুনি ৷ তারপর খবর নিয়ে শুনি কুয়ার মধ্যে ঝাঁপ দিয়েছে বউ ৷ প্রথমে ননদ দেখেছেন ৷ পরে শাশুড়ি এবং ননদ দড়ি ফেলে তাঁকে ওঠার জন্য বললেও বউ ওঠেনি ৷" বারোবিশা ফাঁড়ির পুলিশ জানিয়েছে ঘটনর তদন্ত হচ্ছে ৷