বারাসত, 4 জুলাই: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশই সার ! প্রায় 3 কোটি টাকা খরচে তৈরি হওয়ার দু'বছর পরেও চালু হয়নি হকারদের জন্য 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । হারিয়ে গিয়েছে নথিপত্রও ৷ বারাসতে বিঁশ বাও জলে হকার সমস্যার সমাধান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণা মতো 2014 সালে এই প্রকল্পের কাজ শুরু করে প্রশাসন ৷ 2022 সালে শেষ হয় মুখ্যমন্ত্রীর সাধের এই 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প । তারপরও হকারদের দোকানঘর হস্তান্তর করা হয়নি বলেই অভিযোগ ।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পরও উত্তর 24 পরগনার জেলাসদর বারাসতে মুখ থুবড়ে পড়েছে হকার সমস্যার সমাধান । ফুটপাত দখলমুক্ত করতে খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক উদ্যোগী হলেও, তাঁরই সাধের 'কর্মতীর্থ' প্রকল্প শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও কেন তা চালু করা গেল না, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠেছে । এর নেপথ্যে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতা রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকে । যদিও, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, কর্মতীর্থ প্রকল্পের কিছু কাজ এখনও বাকি রয়েছে । সেই কারণেই হকারদের স্থায়ী সমাধান এখনও করা যায়নি । তবে, দ্রুত হকার সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে পুর কর্তৃপক্ষ ।
বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, "পুর প্রশাসন এবং হকারদের মধ্যে যে চুক্তি হয়েছিল সেই ফাইল খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ।আমরা চেষ্টা করছি সেই ফাইল খুঁজে বের করার । তাছাড়া কর্মতীর্থ প্রকল্পে যাঁদের দোকান দেওয়া হবে, তাঁদের তালিকাও খুঁজে বের করা প্রয়োজন !আমরা কিছু নাম বের করতে পেরেছি । বাকিদের নামের তালিকাও খুঁজে বের করা হচ্ছে । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে দ্রুত তা চালু করে দেওয়া হবে ।"