বোলপুর, 1 নভেম্বর: বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল থেকে । অভিযোগ, হাসপাতালের বেডের চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন বিচারাধীন বন্দি দেবনাথ বাগদি (30) ৷
গত 24 অক্টোবর চুরির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল বোলপুর থানার পুলিশ । জেল হেফাজতে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি ৷ তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ৷ শুক্রবারের এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তপক্ষ-সহ পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ।
বোলপুর হাসপাতালে বিচারাধীন বন্দির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা (ইটিভি ভারত) বোলপুরের নায়েকপাড়ার বাসিন্দা দেবনাথ বাগদি ৷ গ্রেফতার হওয়ার দিনই ধৃতকে বোলপুর মহকুমা আদালতের বিচারক 14 দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ৷ সেই মতো বোলপুরের সিয়ান সংশোধনাগারে ছিলেন দেবনাথ ৷ জেল, পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, বন্দি থাকাকালীন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁকে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেলে ভর্তি করা হয় ৷
এদিন সেই সেল থেকেই দেবনাথের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় ৷ সেলের বেডের চাদর ছিঁড়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেবনাথ আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ ৷ পরিবারের দাবি, এই বিষয়ে পুলিশের তরফ থেকে কোনোরকম সংবাদ দেওয়া হয়নি ৷ বহুক্ষণ পর হাসপাতাল সূত্রে পরিজনরা মৃত্যুর খবর পান ৷
এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ-সহ শান্তিনিকেতন থানার পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে । পুলিশ সেলে বিচারাধীন বন্দির উপর কেন নজরদারি ছিল না, উঠেছে সেই প্রশ্নও ৷ বোলপুর মহকুমা হাসপাতালের পুলিশ সেল শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত । থানায় থানায় চলছে কালী পুজো, পুজোর মরশুমে পুলিশি নজরদারির অভাবেই এই ঘটনা বলে অনেকে অভিযোগ করছেন ৷ যদিও, এই নিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ ৷
মৃত বিচারাধীন বন্দির মা পল্লবী বাগদি বলেন, "কোনোরকম খবর দেয়নি পুলিশ ৷ কাউন্সিলের কাছে জানতে পারি আমার ছেলে মারা গিয়েছে । পুলিশ ধরে নিয়ে গেল, তারপরে আমার ছেলে মারা গেল ৷ আমি আর কী বলব, বিচার চাই ।"