মুর্শিদাবাদ, 3 অক্টোবর: আরজি কর-কাণ্ডের বিচারে চেয়ে প্রতিবাদে সামিল হওয়ায় বিজ্ঞান মঞ্চকে বয়কটের অভিযোগ সরকারি স্কুলগুলির বিরুদ্ধে ৷ উল্লেখ্য, আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে এগিয়ে এসেছে অনেক সংস্থা । তাদের মধ্যে অন্যতম বিজ্ঞান মঞ্চ ৷ তবে এই নিয়ে প্রতিবাদ করায় তাদের পরীক্ষার জন্য সরকারি স্কুলগুলি সেন্টার হতে চায়নি বলে অভিযোগ ৷ এর ফলে সমস্যায় পড়েছে পড়়ুয়ারা ৷ বিজ্ঞান মঞ্চের পরীক্ষা দিতে অনেক দূরে পাড়ি দিতে হচ্ছে তাদের ৷ মুর্শিদাবাদের কান্দি মহকুমার ঘটনা ৷
উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ তার মধ্যেও জারি আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের বিচার চেয়ে আন্দোলন ৷ আর তাতেই সামিল হতে দেখা গিয়েছে বিজ্ঞান মঞ্চকে ৷ এর জন্যেই বিজ্ঞান মঞ্চকে কান্দি মহকুমায় কোনও সরকারি স্কুল সেন্টার হিসেবে দেওয়ার জন্য রাজি হয়নি । যে কারণে অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়েছে তাদের । মূলত প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে বিজ্ঞান মঞ্চে সামিল হওয়া পরীক্ষার্থীরা । আগে তারা তাদের বাড়ির কাছে সেন্টার পেত ৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কাছের সরকারি স্কুলগুলি সেন্টার না হওয়ায় অনেকটা পথ অতিক্রম করে ও জায়গা চিনে তাদের পরীক্ষা দিতে আসতে হচ্ছে । এতেই বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা ৷
সরকারি স্কুলগুলি বিজ্ঞান মঞ্চকে বয়কট করায় সমস্যায় পরীক্ষার্থীরা (ইটিভি ভারত) অভিভাবক অসিত চক্রবর্তী বলেন, "আমার ছেলে প্রতি বছর বিজ্ঞান মঞ্চের পরীক্ষা দেয় ৷ এ বছরও সে পরীক্ষায় বসেছে । আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় যাদের অঘোষিত বয়কট করা হয়েছে তার মধ্যে বিজ্ঞান মঞ্চ একটি । প্রশাসনের কাছে আবেদন, শিক্ষা ক্ষেত্রে এমন অবিচার না-করাই শ্রেয় । বিজ্ঞান মঞ্চের পরীক্ষা বিভিন্ন স্কুলে হয় । তবে এ বছর ভরতপুর ব্লকের সরকারি স্কুল গুণান্দবাটি হাইস্কুলে সেন্টার পড়েছে এবং একটি বেসরকারি স্কুলে সেন্টার হয়েছে । তার জন্য দূরদূরান্ত থেকে ছাত্রছাত্রীদের আসতে হয়েছে । তবে আগামিদিনে যেন এমনটা না হয় সেটাই আবেদন প্রশাসনের কাছে ।"
অপর এক অভিভাবক ঝুমা দাস জানান, "সবাই বিচারের জন্য এগিয়ে এসেছে ৷ কিন্তু তাই বলে স্কুলগুলি কেন এমন আচরণ করছে ? গাড়ির সমস্যা, যাতায়াতের সমস্যা, স্কুল খুঁজে পাওয়ার সমস্যা, এমন নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরীক্ষা দিতে আসার সময় ।"
অন্যদিকে বিজ্ঞান মঞ্চের পরীক্ষার সেন্টার হয়েছে একমাত্র সরকারি স্কুল গুণান্দবাটি উচ্চবিদ্যালয় ৷ স্কুলের সহ-শিক্ষক আনন্দগোপাল ঘোষের কথায়, "প্রায় 145 জন পড়ুয়া পরীক্ষা দিতে এসেছে । ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিলকুমার দাস পরীক্ষার অনুমতি দিয়েছেন ৷ সেই মোতাবেক পরীক্ষা হয় ৷ অন্যান্য স্কুল কেন অনুমতি দেয়নি সে বিষয়ে আমাদের জানা নেই ৷ তবে আরজি কর-কাণ্ডের বিচারের সঙ্গে পরীক্ষার কোনও সম্পর্ক না থাকাই উচিত ৷ ছুটির দিন পরীক্ষা পড়ায় কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয় ৷ সেই কারণে প্রধান শিক্ষকের কাছে আবেদন আসা মাত্রই উনি রাজি হয়েছেন ৷ আর তাই সমস্ত স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত থেকে এই পরীক্ষা নিয়েছেন ।"