কলকাতা, 3 ফেব্রুয়ারি: অতিরিক্তি রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে বাইপাসের ধারে যুবতীকে কোপানোর ঘটনায় ৷ এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ৷ এমনকি তাঁর শরীরে মোট পাঁচটি কোপানোর আঘাত রয়েছে ৷ ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে, এক নাবালক-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
উল্লেখ্য, ঘটনায় মৃতের নাম রোফিয়া শাকিল (24) ৷ এই বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ডিসি (ইডি) আরিশ বিলাল ইটিভি ভারতকে বলেন, "দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল ৷ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এসেছে ৷ সেখানে জানা গিয়েছে, ওই তরুণীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার কোপানো করা হয় ৷ ঘটনাস্থলেই দেহ থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তক্ষরণ হয় ৷ পাশাপাশি, তরুণীর দেহে মোট পাঁচবার ধারালো অস্ত্রের কোপ মারা হয় ৷"
জানা গিয়েছে, এই কারণেই মূলত ওই যুবতীর মৃত্যু হয়েছে ৷ গত বুধবার রাতে প্রগতি ময়দান থানার অন্তর্গত ইএম বাইপাসের ধারে একটি নামী ধাবার সামনে ঘটনাটি ঘটে ৷ একটি ট্যাক্সি থেকে নেমে যুবতীকে কোপানোর হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে সেই রাতেই এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় ৷ সেই রাতেই সেখানে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ধৃত নাবালককে ইতিমধ্যে, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডে পাঠানো হয়েছে ৷
জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর সঙ্গে ধৃত নাবালকের বাবার সম্পর্ক ছিল ৷ সেই রোষের সে ওই যুবতীকে কুপিয়ে হত্যা করে বলে অভিযোগ ৷ আর এই ঘটনায় তার মা শাহজাদি ফারুখ এবং আত্মীয় ওয়াসিম আক্রম সাহায্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, নাবালকের বাবার গাড়ির ব্যবসা রয়েছে ৷ সেই সূত্রে গাড়ির জিপিএস লোকেশন ট্র্যাক করে বাইপাসের ধারে একটি চায়ের দোকানে পৌঁছে যায় অভিযুক্তরা ৷
পুলিশি জেরায় নাবালক জানিয়েছে, তার বাবা এবং ওই যুবতী একই গাড়িতে ছিলেন ৷ জিপিএস ট্র্যাক করে তাঁরা তিনজন ট্যাক্সি করে বাইপাসের ধারে পৌঁছান ৷ যদিও, ঘটনার সময় তাঁর বাবা সেখানে ছিলেন না ৷ তিনি সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন ৷ পরে যুবতী অন্য একটি গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন ৷ অভিযোগ, তখনই নাবালক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর হাতে কোপ মারে ৷ এরপর আরও চারটি কোপ মারা হয় গলার নলি, পেট, থাইয়ে ৷