কলকাতা, 14 জুন:পার্ক স্ট্রিটের স্মৃতি এখনও তাজা ৷ এরই মধ্যে ফের শহরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ৷ শুক্রবার সকালে রুবির কাছে অ্যাক্রোপলিস শপিং মলে চার তলার ফুড কোর্টে বিধ্বংসী আগুন লাগে ৷ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 4টি ইঞ্জিন ৷ এরপর আরও ইঞ্জিন পাঠানো হয় ৷ জানা গিয়েছে, ঘটনার সময় শপিং মলের ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁদেরকে নিরাপত্তাকর্মীরা বাইরে বের করে আনেন । গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে ৷ অক্সিজেন মাস্ক পরে দমকল কর্মীরা মলের ভিতরে ঢুকেছেন ৷ বহুতল ওই মলে বেশকিছু সংস্থার অফিসও রয়েছে ৷
কসবার অ্যাক্রোপলিস মলে ভয়াবহ আগুন (ইটিভি ভারত) জানা গিয়েছে, মলের চার তলার ফুড কোর্টে লাগে আগুন ৷ সেখান থেকেই দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা ৷ আগুন লাগার কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় ৷ ফলে ভেন্টিলেশন শ্যাফ্টও বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ ফলে ধোঁয়া বের করার জন্য মলের কাঁচ ভেঙে দেন দমকল কর্মীরা ৷
শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে দমকলের 15টি ইঞ্জিন যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভানোর কাজ করছে ৷ মলের ভেতরে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুটি হাইড্রোলিক স্কাই ল্যাডার ব্যবহার করছেন দমকল কর্মীরা ৷ ধোঁয়ার কারণে মলের ভিতরে ঢুকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে ৷ সেই কারণে ভাঙা হচ্ছে মলের একের পর এক কাঁচ ৷
ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু ৷ তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে ৷ তাঁর কথায়, "ধোঁয়া রয়েছে প্রচুর ৷ সেই কারণে শপিং মলের কাঁচ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছি ৷ কী থেকে আগুন লাগল, তা খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত করা হবে ৷ তবে মলের ভিতরে আর কেউ আটকে নেই ৷"
এদিকে ধোঁয়ার কারণে বহুতলের সিঁড়ি দিয়ে নীচে নামতে অসুবিধায় পড়েন ভেতরে থাকা মানুষজন ৷ কোনও ক্রমে প্রাণ হাতে করে শপিং মল থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টায় হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ৷ সবাই বেরিয়ে আশ্রয় নেন গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে ৷ তাঁদের অভিযোগ, সিঁড়িতে প্রচুর জিনিসপত্র থাকায় বেশ সমস্যায় পড়তে হয় ৷ শুধু তাই নয়, শপিং মলে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা নেই বলেও অভিযোগ ৷ ঘটনাস্থলে দমকল কর্মীদের সঙ্গে রয়েছে কলকাতা পুলিশের বিপর্যয় মোকাবিলা দলও ৷ শপিং মলের ভেতরে আর কেউ আটকে নেই বলে জানিয়েছে পুলিশ ৷
কিছুদিন আগে আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে পার্ক স্ট্রিট আর ক্যামাক স্ট্রিটের সংযোগস্থলের একটি ভবনকে ৷ জানা যায়, সেখানে একটি নাইট ক্লাব এবং রেস্তোরাঁ ছিল ৷ সেখানেই লাগে আগুন ৷ এরপর দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে ৷ খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দমকলের 9টি ইঞ্জিন ৷ ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন দমকল কর্মীরা।