কুলতলি, 31 অক্টোবর: বিশেষভাবে সক্ষম মূক ও বধির মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক প্রৌঢ়ের বিরুদ্ধে ৷ তাঁর বয়স 58 ৷ বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে আপত্তিকর অবস্থায় দু'জনকে দেখতে পাওয়া যায় বলে জানা গিয়েছে ৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে কুলতলি থানার পুলিশ ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর পাচুয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য নির্যাতিতার পরিবারকে টাকার বিনিময়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় ৷ পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ওই মহিলা মা-ভাইয়ের সঙ্গে থাকেন ৷ বুধবার দুপুরে আড়াইটের সময় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আর ফিরে আসেননি । তিনি সাধারণত বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়ান ৷ তাঁকে খুঁজতে শুরু করেন বাড়ির লোকজন ৷ চিৎকার শুনে তাঁরা বাড়ির কাছে একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে প্রৌঢ়ার সঙ্গে মূক মহিলাকে দেখতে পান ৷ প্রৌঢ়াকে চাপ দিলে সে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ৷
এরপরই পুলিশকে খবর দেওয়া হয় ৷ কুলতলি থানার পুলিশ এসে তাকে আটক করে নিয়ে যায় এবং পরে গ্রেফতার করে । পুলিশ জানিয়েছে, ধর্ষণের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ নির্যাতিতার আত্মীয়া বলেন, "আমাদের বড় ননদ, বিশেষভাবে সক্ষম ৷ তিনি কথা বলতে পারেন না ৷ বাড়ির আশপাশে ঘুরে বেড়ান ৷ বাদল নামের একজন পাশের বাড়িতে থাকে ৷ সে ননদকে জবরদস্তি একটা পোড়ো বাড়িতে নিয়ে গিয়ে একটা শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছে ৷ আমরা গিয়ে দেখতে পেলাম ৷ ননদ তখন চিৎকার করছিলেন ৷"