কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: আরজ কর হাসপাতালে দুর্নীতির ঘটনায় আরও বড় তথ্যপ্রমাণ হাতে এল। এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এল সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা একটি ল্যাপটপ । সূত্রের খবর, সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপটি নিজের বেলেঘাটার বাড়ি থেকে অন্য এক আত্মীয়ের বাড়িতে সরিয়ে রেখেছিল সন্দীপ । তবে সন্দীপের ওই আত্মীয়ের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে তাঁর ব্যবহার করা সেই ল্যাপটপটি বাজেয়াপ্ত করেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটর গোয়েন্দারা ।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের অনুমান, এই ল্যাপটপে হয়তো রাখা হতো যাবতীয় হিসাব । তাই, হিসাব বহির্ভূত আয়ের হিসাব এবং একাধিক নথিপত্র সংশ্লিষ্ট ল্যাপটপ থেকে পাওয়া যেতে পারে বলে অনুমান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। তবে সূত্রের খবর, এই ল্যাপটপ থেকে একাধিক ডেটা আগেই মুছে ফেলা হয়েছে । কী কী তথ্য মুছে ফেলা হল ? তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে ইডি ।
এছাড়াও, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দাদের হাতে এসেছে সন্দীপ ঘোষের ব্যবহার করা আরও দুটি গাড়ি। তাঁর গাড়ি সরকারি হোক বা বেসরকারি, প্রত্যেকটিতেই গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল বোর্ড লাগানো এবং নীল বাতি রয়েছে।
এদিকে, আজই সিবিআই বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে সন্দীপ ঘোষকে। যদিও, যতবার আলিপুর সিবিআই এর বিশেষ আদালতে পেশ করার সময় সেখানকার কর্মরত তাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। আদালত চত্বর থেকে বেরোনোর সময় সপাটে চড় খেতে হয়েছিল সন্দীপকে । এবার সেই কথাকে মাথায় রেখে সন্দীপ ঘোষকে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে পেশ করাতে চায় সিবিআই। যদিও সেই নিয়ে এখনও পাকাপাকি কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সিবিআই।
আরজি কর হাসপাতালে গত 9 অগস্ট সেখানকার এক তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় । পরবর্তী সময়ে জানা যায় তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্ত নেমে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার । তবে, পরে এই ঘটনা তদন্তভার চলে যায় সিবিআই-এর হাতে । পাশাপাশি, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিস পান তদন্তকারীরা ৷ এই ঘটনায় নতুন ভাবে এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামেন সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখার গোয়েন্দারা । এবার সিবিআই-এর পাশাপাশি সন্দীপের হাসপাতালে দুর্নীতির তদন্তে নেমেছে ইডি ৷