শিলিগুড়ি, 27 জুলাই: বিরোধী বিধায়কদের 'বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন' তহবিলের টাকা আটকে রাখছেন জেলাশাসকরা। এবার এমনটাই অভিযোগ তুলে বিধানসভার অন্দরে অবস্থান বিক্ষোভে বসতে চলেছেন বিজেপির মুখ্য সচেতক শঙ্কর ঘোষ ৷ শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে একথা জানান তিনি ৷
সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির পুরনিগমের বিরোধী দলনেতা অমিত জৈন ও শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির-সহ সভাপতি নান্টু পাল ৷ এদিন শঙ্কর ঘোষ বলেন, "বিরোধী বিধায়করা উন্নয়নের জন্য যে টাকা পান, সেই টাকাও জেলাশাসকরা আটকে রাখছেন ৷ আমি নিজে 60টির বেশি প্রকল্পের জন্য জেলাশাসকের কাছে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সাত থেকে আটটি কাজ হয়েছে। বাকিগুলো জোর করে আটকে রাখা হয়েছে।"
একই সঙ্গে, শঙ্কর ঘোষের অভিযোগ, বিধানসভার বিভিন্ন কমিটি, এমনকী রোগীকল্যাণ সমিতির মতো উন্নয়নমূলক কমিটি থেকে বিরোধী বিধায়কদের বঞ্চিত রাখা হচ্ছে ৷ এমনকী তাঁর বিধায়ক তহবিলের প্রায় আড়াই কোটি টাকা আটকে রেখেছেন জেলাশাসক ৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা বলেন, "এছাড়া গাজলডোবায় জমির কেলেঙ্কারি-সহ একাধিক দাবিতে আগামী সপ্তাহে বিধানসভার ভিতরে অবস্থান বিক্ষোভে বসব ৷"
এরপরই দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলকে তুলোধনা করে শঙ্কর ঘোষ বলেন, "আগের জেলাশাসকদের তাও দেখা যেত ৷ আমরা গিয়ে দেখা করতে পারতাম ৷ এই জেলাশাসককে তো পাওয়াই যায় না ৷ একমাত্র মেয়রের সঙ্গে তিনি বাজারে বাজারে যান ৷ তার কাজ কি শুধু মেয়রকে দিয়ে ? আর ওনাকে খুঁজেই পাওয়া যায় না ৷"
বিধানসভার বিজেপি মুখ্য সচেতক বলেন, "তিনি যদি ভাবেন মেয়রই সবকিছু, আমরা বিধায়করা কেউ নই, তাহলে তিনি ভুল করছেন ৷ আমরা কাটমানি খাওয়া বিধায়ক নয় ৷ তিনি যদি ভেবে থাকেন শিলিগুড়ির মানুষের বিরুদ্ধে তিনি জেহাদ করবেন, যুদ্ধ ঘোষণা করছেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন ৷" এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রীতি গোয়েলের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে যাবতীয় অভিযোগ তিনি উড়িয়ে দিয়েছেন ৷ পালটা তিনি বলেন, "যা করা হয়, তা নিয়ম মেনে করা হয় ৷ এর বাইরে আর কিছু বলতে পারব না ৷"