তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ ছাড়তে শুরু করেছে, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের বর্ধমান, 14 এপ্রিল: ‘‘স্বচ্ছ ভারত আর স্বচ্ছ রাজনীতির জন্য ত্রিশূল হাতে নিলাম । ভয় নয়, আত্মরক্ষার জন্য নয়, দেশরক্ষার জন্যই ত্রিশুল ধরলাম ।’’ নববর্ষের সকালে বর্ধমান শহরের আলমগঞ্জ এলাকায় বাবা বর্ধমানেশ্বরে পুজো দিয়ে ত্রিশূল হাতে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।
রবিবার সকালে প্রথমে তিনি আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠে প্রাতঃভ্রমণ করেন। সেখান থেকে চা-চক্রে যোগ দেন। এরপর বর্ধমানেশ্বরে পুজো দেন। বর্ধমানেশ্বর মন্দিরে ঢোকার সময় বিজেপি সমর্থকেরা তাঁর হাতে ত্রিশূল তুলে দেন। ত্রিশূল হাতে নিয়ে রীতিমতো খুশি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘‘নববর্ষের দিন সকালে বাবা বর্ধমানেশ্বরকে দর্শন করে পুজো দিলাম। বাবার ওখান থেকেই ত্রিশূল লাভ হল। এই মহাবিশ্বে যখন থেকে পাপ আর অশুভ শক্তির প্রভাব বেড়েছে, তখনই তিনি হাতে ত্রিশূল তুলে নিয়েছেন। তাণ্ডব নৃত্য করেছেন। তাঁরই প্রেরণায় আমার কুলদেবতা মহাদেবের ত্রিশূল নিয়ে আমরা অভিযান করে স্বচ্ছ ভারত ও স্বচ্ছ রাজনীতি করতে চাই। এই ত্রিশূল তাঁর প্রতীক। আত্মরক্ষা নয়, দেশরক্ষাই মূল লক্ষ্য।"
উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়ির মঞ্চ থেকেই বিজেপি বিসর্জনের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । পাশাপাশি সাধারণ মানুষ কেন বিজেপিকে ভোট দিয়ে জেতায় সেই প্রশ্নও তোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো । এদিন সেই কথার রেশ ধরে দিলীপ ঘোষ বলেন, "বিজেপিকে মানুষ ভোট দিয়েছিল বলে আজ তো বাড়ি তৈরি হচ্ছে, বিনা পয়সায় রেশন পাচ্ছে । ভ্যাকসিনও পেয়েছেন । আর 12 বছর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতায় রেখে কি পাওয়া গিয়েছে ? একটা রাস্তাও বানাতে পারেনি ঠিক করে । চুরি, তোলাবাজি, দুর্নীতি সবই দেখেছে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে । উত্তরবঙ্গে উনি পড়ে থাকুন, বসে থাকুন, শুয়ে থাকুন কিছু যায় আসে না । উত্তরবঙ্গ ও জঙ্গলমহলের মানুষ ওনাকে শিক্ষা দিয়েছিল । কাজ না-করে মিথ্যে কথা বললে, টাকা চুরি করলে কী হয় সেটা দেখুক । জেতার সুযোগ কোথাও নেই, তাই মানুষের মন গলানোর চেষ্টা করছেন। শুধু উত্তরবঙ্গ কেন গোয়া, অসম, ত্রিপুরাতেও তো গিয়েছিলেন। সেখানকার মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের কী ওজন আছে। মানুষ যখন একবার কাউকে ছেড়ে দেয় আর তারা পিছনের দিকে তাকায় না। ঠিক যেমন কংগ্রেস কিংবা সিপিএমকে মানুষ ছেড়ে দিয়ে আর ঘুরে তাকায়নি। তৃণমূল কংগ্রেসকে মানুষ ছাড়তে শুরু করেছে।"
কীর্তি আজাদকে একহাত নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমার লোকেরা আমাকে তো তাড়া করে না। তাই পালাতে হয় না। লোকে তো ওনাকে দেখে মজা পাচ্ছেন। কখনও ঘোড়ায় চড়ছেন, আবার অসুস্থ স্ত্রীকে নিয়ে রাস্তায় হাঁটছেন। এইভাবে কি ভোট পাওয়া যায়। ভোটে কে দাঁড়িয়েছেন উনি না ওনার স্ত্রী ? উনি তো নাচানাচি করে ড্রামা করছেন ৷ ঠিক যেমন রাস্তায় বাঁদর খেলা দেখায় না, নেচে লোক জোগাড় করার চেষ্টা করছেন । কার সঙ্গে লোক আছে সেটা দেখার জন্য একদিন আমার সঙ্গে হাঁটুক ।"
আরও পড়ুন:
- তৃণমূল কংগ্রেস 'ভিখারির দল', মমতাকে পালটা দিলেন দিলীপ
- 'বাংলা জঙ্গিদের মামার বাড়ি', বেঙ্গালুরুর ক্যাফে বিস্ফোরণ কাণ্ডে মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের
- রামনবমী পালনে পুলিশ বাধা দিলে পালটা জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলীপের