পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক, নির্দেশ স্বাস্থ্য় ভবনের - Dengue Test

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 16, 2024, 4:47 PM IST

Dengue Fever Test: ডেঙ্গির উপসর্গে এবার এসেছে কিছু পরিবর্তন। পেটের সমস্যা, ডায়ারিয়া, বমি, খেতে না-পারা এবং লিভারের সমস্যা ইত্যাদি ৷ তবে এবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে জানানো হয়েছে, জ্বর হলেই ডেঙ্গি পরীক্ষা বাধ্যতামূলক ৷

Dengue Fever Test News
জ্বর হলে ডেঙ্গি পরীক্ষা (ইটিভি ভারত)

কলকাতা, 16 জুলাই:জ্বর হলেই করাতে হবে ডেঙ্গির পরীক্ষা। এমনই কড়া নির্দেশ দিল স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, অল্প জ্বর হলেও ডেঙ্গি পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলক। রাজ্যের সমস্ত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই সেই নির্দেশ স্বাস্থ্য ভবনের তরফে দেওয়া হয়েছে। এমনকি এর জন্য যথাযথ পরিকাঠামো গড়ে তোলা হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্যভবনের তরফে ।

বর্ষার মরশুমে শহর কলকাতার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে দেখা যাচ্ছে জমা জল। আর সেই জমা জলেই জন্ম নিচ্ছে ডেঙ্গির মশা। তার ফলে ইতিমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গির পরিস্থিতি নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে প্রশাসন মহলে । রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলাই কমবেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে । যাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে না-যায় তাই কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে স্বাস্থ্য ভবন।

স্বাস্থ্য আধিকারিকের কথায়, চিরাচরিত উপসর্গ, যেমন জ্বর, মাথায় ব্যথা, গাঁটে-গাঁটে ব্যথার বাইরেও হালকা জ্বর ও পেটে মোচড়ের মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে । তাই, পেট খারাপ ও অল্প জ্বর দেখা দিলেই ডেঙ্গির এনএস-1 বা আইজিএম (অ্যালাইজ়া) পরীক্ষা প্রেসক্রিপশনে লিখতে হবে । কোনও রোগী যদি পেট ব্যথ্যা কিংবা ডায়েরিয়ার উপসর্গ নিয়ে আসেন, তা হলে তাঁর জ্বর হয়েছিল কি না, তা খোঁজ নিতে বলা হয়েছে। সেক্ষেত্রেও ডেঙ্গি পরীক্ষা করাতে হবে ।

প্রসঙ্গত, 2023 সালে রাজ্যে 12 বছরের রেকর্ড ভেঙে ছিল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেশ উদ্বেগজনক । ডেঙ্গিতে সবথেকে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা উত্তর 24 পরগনায়। তারপরেই রয়েছে মালদা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি ও কলকাতা এবং আসানসোল। অপরদিকে মশারই লার্ভা মারতে কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে। দুই ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করে রাজ্য। একটি হল জৈব কীটনাশক, অন্যটি রাসায়নিক কীটনাশক। রাজ্য এবার দুই ধরনের জৈব কীটনাশক কিনেছে। একটি কিনেছে প্রায় 68 হাজার কেজি ৷ অন্যটি প্রায় 50 হাজার লিটার । সবমিলিয়ে জৈব কীটনাশকের জন্যে সরকার বরাদ্দ করেছে প্রায় 15 কোটি টাকা । আর রাসায়নিক কীটনাশকের জন্য খরচ করা হয়েছে প্রায় 5 কোটি টাকা ৷

ABOUT THE AUTHOR

...view details