রায়গঞ্জ, 23 অগস্ট: আরজিকরের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। তারই মাঝে এক মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানার অন্তর্গত একটি গ্রামে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম কারেন শেখ। বাড়ি পার্শ্ববর্তী গ্রামে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে পলাতক ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ।
মূক-বধির গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা, ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত - Housewife Raped
Deaf And Dumb Housewife Raped: এক মূক ও বধির গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ থানা এলাকায় ৷ রায়গঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
Published : Aug 23, 2024, 3:55 PM IST
পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, ওই মুখ ও বধির গৃহবধূর স্বামীর একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে । ওই এলাকায় একটি মেলা শুরু হওয়ায় তাঁর স্ত্রীকে দোকানদারি করার জন্য বলেছিলেন। সেই কারণ, মিষ্টির দোকানে চলতি মাসের 13 তারিখে ওই গৃহবধূ মিষ্টির দোকানে দোকানদারি করার জন্য এসেছিলেন। রাত হয়ে যাওয়ায় তার স্বামী তাঁদের পরিচিত কারেন শেখকে তার স্ত্রীকে বাড়ি পৌঁছে দিতে বলেন। কারেন শেখেরও ওই এলাকায় একটি মিষ্টির দোকান রয়েছে। কারেন শেখ তার স্ত্রীকে বাইকে করে নিয়ে যায়। কিছুদূর যাওয়ার পরে বাইক একটি ফাঁকা জায়গায় রেখে তাঁর স্ত্রীকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। কোনওক্রমে সেখান থেকে পালিয়ে যায় ওই গৃহবধূ। পালিয়ে একটি গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকে ওই গৃহবধূ। পরে ওই গৃহবধূ সেখান থেকে বিবস্ত্র অবস্থাতেই বাড়ির দিকে যেতে থাকে কিন্তু গ্রামের মোড়ে আসতেই ওই ব্যক্তি আবার তাকে ধরে ফেলে পুনরায় ধর্ষণ করার চেষ্টা করলে কোন মতে সেখান থেকে পালিয়ে বাড়িতে পৌছায় ওই গৃহবধূ।
বাড়িতে গিয়ে গোটা ঘটনাটি তার স্বামীকে বলেন ওই গৃহবধূ্। ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় কারেন শেখের বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে নির্যাতিতা মূক ও বধির গৃহবধূর স্বামী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। যদিও ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত কারেন শেখ। অভিযুক্তের দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তির দাবি তুলেছে পরিবার থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষজন। যদিও এ ঘটনায় রায়গঞ্জ থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানিয়েছেন, "গত 17 তারিখে ওই নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামী একটি অভিযোগ করেছে। আমরা সেই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছি। আইন অনুযায়ী নিয়ম মেনে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শীঘ্রই অভিযুক্ত ধরা পড়বে।"