কলকাতা ও হুগলি, 13 এপ্রিল: বাংলার নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত রাজ্যবাসী ৷ বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণ শুরু হতে চলেছে নববর্ষ দিয়ে ৷ ইতিমধ্যেই কলকাতার পাশাপাশি হুগলিতেও বাঙালিদের মিষ্টি কেনার ভিড় কেড়েছে নজর ৷ কেমন চলছে বিক্রিবাট্টা, নতুন কোন মিষ্টিই বা এসেছে নববর্ষের বাজারে, খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷
নতুন বছরের শুরুয়াত মিষ্টি ছাড়া নৈব নৈব চ। বিভিন্ন প্রসিদ্ধ মিষ্টির দোকানে এবারের নববর্ষে রয়েছে 'বেনারসি আবার খাব', 'বৈকুণ্ঠ ভোগ', 'ম্যাঙ্গো মালাই চপ', 'কাজু বরফি', 'কাজু সন্দেশ'-সহ হরেক রকমের মিষ্টি । আবার বেকড রসগোল্লা থেকে শুরু করে বেকড সন্দেশ, শুভ নববর্ষ লেখা বিশেষ সন্দেশ, ক্ষীর কান্তি, চন্দ্রকলা, গজা, ড্রাই ফ্রুট লাড্ডু, ক্ষীর ফ্রাই রোলের চাহিদাও নববর্ষের বাজারে বিপুল ৷ এক মিষ্টান্ন বিক্রেতা বলেন, "সকাল থেকেই মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে ৷ সাধ্যের মধ্যে রয়েছে নানা স্বাদের মিষ্টি ৷ আর নববর্ষ মিষ্টিমুখ ছাড়া ভাবাই যায় না ৷"
আবার অনেকে ক্রেতাদের মতে, নববর্ষ লেখা মিষ্টি এই সময়ে বিশেষ পছন্দের ৷ অন্য সময় মিষ্টি খাওয়া না পসন্দ হলেও বাংলার নতুন বছর শুরু করতেই হয় মিষ্টি মুখ করে ৷ একই ছবি ধরা পড়েছে হুগলিতেও ৷ পয়লা বৈশাখে যেমন বাড়ির জন্য মিষ্টি নিয়ে যাচ্ছেন অনেকে তেমনই হাল খাতার জন্য মিষ্টির অর্ডার সাপ্লাই দিতে হিমশিম খাচ্ছেন দোকান মালিকরা। পয়লা বৈশাখে রকমারি মিষ্টি তৈরি করেছেন দোকান মালিকরা। রাজনন্দী,মতিচুর, বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি রসগোল্লা-সহ রকমারি সন্দেশ বিকোচ্ছে দেদার ৷
চন্দননগরের এক মিষ্টি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার বলেন, "গরমের জন্য আম দই, দই বড়ার চাহিদা খুব বেশি। পাতুরি রাজনন্দিনী, কেশর রসগোল্লা সব কিছুর দাম নাগালের মধ্যেই রয়েছে।" আবার মুম্বই নিবাসী এক মহিলা ফিরেছেন নিজের বাড়ি ৷ পয়লা বৈশাখ উপলক্ষ্যে তিনিও মিষ্টি কিনতে ব্যস্ত বলে জানান ইটিভি ভারতকে ৷ সব মিলিয়ে বাঙালির বাংলার নতুন বছর মিষ্টিময় হোক, রইল এই প্রার্থনা ৷