কলকাতা, 15 ডিসেম্বর: বাংলাদেশ আবহে ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এখনো পর্যন্ত যতটুকু খবর পাওয়া যাচ্ছে, সেনার তরফ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন । সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে সোমবার দুপুরে মিলিটারি ট্যাটু অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন তিনি ।
বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণ ও রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব আলোচনায়, ঠিক তখন আরও একটি বিজয় দিবসের সামনে দাঁড়িয়ে ভারত । 1971 সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুক্তে বড় অবদান ছিল ভারতীয় সেনার । ওই বছরের 16 ডিসেম্বর ভারতীয় সেনা ও বাংলাদেশের মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিল পাকিস্তানের 93 হাজার সেনা । তাই দিনটিকে বিজয় দিবস হিসেবে পালন করা হয় । প্রত্যেক বছরই এই দিনটিতে কলকাতায় বিশেষ অনুষ্ঠান হয় । এবার ভারতীয় সেনার বিজয় দিবসের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (নিজস্ব ছবি) সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ এবং তা নিয়ে এপার বাংলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা বক্তব্য পেশ করেছেন ৷ এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল । যতদূর জানা যাচ্ছে, ভারতীয় সেনার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন 10-12 জন মুক্তিযোদ্ধাও । তাঁদের সামনে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কী বলেন, সেটাই এখন দেখার বিষয় ।
প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক সময়ে বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে একাধিকবার বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বাংলাদেশ নিয়ে তিনি প্রথম থেকেই কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি নেবে তা অনুসরণের কথা বললেও, বেশ কয়েকটি বিষয়ে কড়া বক্তব্য রাখতে দেখা গিয়েছে তাঁকে । এই অবস্থায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যদি শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন, সেক্ষেত্রে তিনি কী বলেন সেদিকে সকলের নজর থাকবে ।
সাম্প্রতিক অতীতে বিধানসভায় দাঁড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে বাংলাদেশে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি সেনা পাঠানোর জন্য সওয়াল করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ এমনকি আওয়ামী লীগ নেতার বাংলা বিহার দখলের প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়াও দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ এই ঘটনাগুলির পর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে তাঁর বক্তব্য নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে রাজনীতিতে ৷ বর্তমানে বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির আবহে অন্য মাত্রা পাবে এবারের বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানও । সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ।