কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ থাকলেও নিয়োগ দূর্নীতি মামলায় চার্জ ফ্রেম করতে দেরি ইডি'র ৷ আর এই গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ সিবিআই আদালতের বিচারক শুভেন্দু সাহা। গত সপ্তাহে ইডি'র মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন মঞ্জুর করেছিল শীর্ষ আদালত। একই সঙ্গে শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল, জানুয়ারির মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ করে বিচারপর্ব শেষ করতে হবে।
ইডি'র আধিকারিকরা গড়িমসি করছেন বলে প্রকাশ্য আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বিচারক। পাশাপাশি নিয়োগ দূর্নীতিতে একাধিক অভিযুক্ত আদালতে হাজিরা না দেওয়াতেও ক্ষুব্ধ বিচারক শুভেন্দু সাহা। ইডি সবাইকে সমনের কপি না পাঠানোয় তাঁরা হাজিরা দেননি বলে দাবি। বিচারকের সাফ বক্তব্য, বড়দিনের ছুটি পড়ার আগে বিচারপর্ব শুরু হয়ে যাবে। পরে জামিনের আবেদন করলে দেওয়া সম্ভব নয়। মামলার তদন্তকারী আধিকারিকের উদ্দেশে বিচারকের মন্তব্য, "নোটিশ গুলো সার্ভ করুন। আপনারা নিজেদের দায়িত্ব পালন করছেন না !"
ইডি'র গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ বিচারক (ইটিভি ভারত) নোটিশ সার্ভ করার ব্যাপারে ইডি'র গড়িমসিতে বিচারকের ইডির উদ্দেশে বলেন, "হোস্টেলের ছাত্রের মত পরীক্ষার দশ মিনিট আগে জামা নিয়ে দৌঁড়লে হবে না। তাদেরকে ভালো করে ইনফর্ম করুন।" সব অভিযুক্ত হাজির না থাকায় এদিনও চার্জ ফ্রেম হয়নি নিয়োগ দূর্নীতি মামলায়। কবে চার্জ ফ্রেম হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। পাশাপাশি পরিস্থিতি এরমক থাকলে সমস্ত নথি সুপ্রিমকোর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে বলেও হুশিয়ারি বিচারকের।
20 ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে বেলা দু'টোর সময়। এদিন ভার্চুয়ালি পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অয়ন শীল, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় হাজিরা দেন আদালতে। বিচারক শুভেন্দু সাহার প্রশ্ন, "বাকিরা কোথায় ? সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রর কি এখনও শরীর খারাপ ?" আইনজীবী বলেন, "তাঁকে সেন্ট্রাল ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁকে 21 ডিসেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।" পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই আমেরিকায় থাকেন। তিনি আদালতে কেন হাজিরা দেননি তাও জানতে চান বিচারক। উল্লেখ্য, নিয়োগ দূর্নীতিতে ইডি'র মামলায় মোট 54 জন অভিযুক্ত রয়েছেন। যাদের ইডি বা সিবিআই গ্রেফতার করেনি, তাঁদের মধ্যে থেকে এদিন একাধিক ব্যাক্তি যাঁরা সশরীরে হাজির হয়েছিলেন আদালতে তাঁদের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।