কলকাতা, 15 সেপ্টেম্বর: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীর ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের যোগ রয়েছে বলে আদালতে দাবি করল সিবিআই ৷ তাদের দাবি, ঘটনার দিন আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে ফোনে একাধিকবার কথা বলেছিলেন টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডল । এই ঘটনায় ধৃত এই দু'জনকে তিনদিনের জন্য সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত ৷
সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা এদিন আদালতে দাবি করেন যে তাঁরা জানতে পেরেছেন, ওসি-কে ঘটনার পর কী কি করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন সন্দীপ ঘোষ । টালা থানার অফিসার ইনচার্জ অভিজিৎ মণ্ডলও এই অপরাধের অংশীদার বলে দাবি করেছে সিবিআই । তাদের দাবি, তথ্য-প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল । এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে । সকাল দশটায় দেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেলেও কেন রাতে সাড়ে এগারোটার পর এফআইআর দায়ের হল, সেই প্রশ্ন তোলেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা ৷
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, "সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন্স মানা হয়নি । তাঁরা আইন জানতেন না এমনটা নয় ৷ সেখানে উপস্থিত থাকা পুলিশকর্মীরা আইনের অবমাননা করেছেন । এই প্রকারের ঘটনায় সঙ্গে সঙ্গে অফিসার ইনচার্জের তরফ থেকে এফআইআর করা উচিত ছিল ।"
সিবিআই তরফ থেকে ভরা আদালতে এদিন জানানো হয় যে, অভিজিৎ মণ্ডল একজন অফিসার ইনচার্জ বা পুলিশকর্মী হিসেবে গ্রেফতার হননি, বরং এই ঘটনায় তিনি একজন অভিযুক্ত, সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি হিসেবে গ্রেফতার হয়েছেন ৷ সিবিআইয়ের দাবি, ধর্ষণ ও খুনে সরাসরি অভিযুক্ত নন টালা থানার ওসি । বরং ঘটনাস্থল থেকে তথ্য-প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে এবং সন্দেহভাজন হিসেবে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।