কলকাতা, 25 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালের আর্থিক দুর্নীতি সংক্রান্ত বহু তথ্য এসেছে সিবিআইয়ের হাতে। রবিবার এমনটাই ইঙ্গিত দিলেন আরজি কর হাসপাতালে আসা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।
রবিতে সিবিআইয়ের হানা-এদিন আরজি কর হাসপাতালে সকাল 8টা নাগাদ পৌঁছন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁরা প্রথমে যান অধ্যক্ষের ঘরে। সেখানে বর্তমান অধ্যক্ষ এবং বর্তমান উপাধ্যক্ষকে ফোন করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁরা হাসপাতালে আসেন। উপাধ্যক্ষের সঙ্গে তাঁরা যান হাসপাতালের স্টোর বিল্ডিংয়ে। সেখান থেকে ফিরে ফের তাঁরা অধ্যক্ষের অফিসের বৈঠক করেন। তবে কিছু সময় পর আবারও তাঁরা বর্তমান উপাধ্যক্ষ সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়কে সঙ্গে নিয়ে যান উপাধ্যক্ষের অফিসে। সেখানে দীর্ঘ বৈঠক হয়।
কী কী হাতে এল সিবিআইয়ের-হাসপাতাল সূত্রে খবর, আজ তাঁরা বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেন। এছাড়াও সন্দীপ ঘোষ এবং তৎকালীন সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠর কম্পিউটার খতিয়ে দেখেন তাঁরা। এছাড়াও ডেকে পাঠানো হয়েছিল বিভিন্ন আধিকারিক এবং প্রাক্তন ডিন বুলবুল মুখোপাধ্যায়কেও। সেই নথি সংগ্রহের পরেই এই প্রথম সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের এক আধিকারিক বলেন, "বহত কুছ মিলা।"
সিবিআইয়ের দিননামচা-
- এরপর তাঁরা বর্তমান উপাধ্যক্ষকে সঙ্গে নিয়ে অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ে যান ৷ সেখানে ছিলেন ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান। তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন সিবিআই আধিকারিকরা। তবে এর মাঝেই আরজি কর হাসপাতালে আসেন বেক ইন্ডিয়া ক্যাফেটেরিয়ার মালিক চন্দন লৌহ। আরজি কর হাসপাতালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আক্তার আলি সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলেছিলেন । তিনিও আসেন এদিন ৷ আখতারের আনা অভিযোগের মধ্যে একটি ছিল বেআইনিভাবে টেন্ডার পাইয়ে হাসপাতাল চত্বরে ক্যাফেটেরিয়া চালানো সংক্রান্ত। তাঁর ভিত্তিতেই চন্দন লৌহকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তাঁর দোকানের সামনে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেন তাঁরা।
- অন্যদিকে, ফরেন্সিক প্রধানের সঙ্গে সিবিআই আধিকারিকরা বৈঠক করার সময়েও ডেকে পাঠানো হয়েছিল হাসপাতালের ভিতরে থাকা অন্য আরেকটি ক্যাফেটেরিয়ার মালিককে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে তৎকালীন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। সেই চিঠিতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের তরফে নতুন একটি ক্যাফেটেরিয়া খোলার কথা বলা হয়। যা পরবর্তীকালে সন্দীপ ঘোষ খোলার অনুমতি দিয়ে দেন। সেই কারণেই সিবিআই আধিকারিকরা ডেকে পাঠান ওই ক্যাফেটেরিয়ার বর্তমান মালিক শশীকান্ত তিওয়ারিকে।
এরপর হাসপাতালের বর্তমান সুপার সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় বলেন, "প্রধানের সঙ্গে বেশকিছু বিষয় নিয়ে কথা বলার ছিল ৷ এরপর অধ্যক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।" রাত 10টা পর্যন্ত সিবিআই আধিকারিকরা হাসপাতালের ভিতরেই রয়েছেন। অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে উপাধ্যক্ষ'র উপস্থিতিতে বৈঠক করছেন তাঁরা।