কলকাতা, 22 এপ্রিল: রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্য পুলিশ কীভাবে তদন্ত করেছিল, কী হয়েছিল এই সবকিছুর উপরে উঠে একটা সময় কলকাতা হাইকোর্টের তরফে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইকে এই নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত করার নির্দেশ দেয় ৷ কলকাতা হাইকোর্টের সেই নির্দেশ পাওয়ার পর সিবিআই-এর তদন্তকারী আধিকারিকরা সবথেকে যে বড় পদক্ষেপটি গ্রহণ করেছিল তা হল, গাজিয়াবাদে সিবিআইয়ের মোক্ষম তল্লাশি অভিযান। সিবিআই সূত্রের খবর, তদন্তে নেমে প্রথমেই গাজিয়াবাদের নাইসার একটি অফিসে তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা। আর সেদিন সেই সিবিআইয়ের তল্লাশিই বড় হয়ে দাঁড়াল সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে।
জানা গিয়েছে, রাজ্যের তরফ থেকে নাইসা নামক একটি সংস্থাকে পরীক্ষার ওএমআর শিট তৈরির বরাত দেওয়া হয়েছিল। সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা সেখানে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে পঞ্জক বনসলের অফিস থেকে তিনটি হার্ডডিস্ক উদ্ধার করে ৷ সেখান থেকেই জানা যায়, যে চাকরিপ্রার্থীরা পরীক্ষার খাতায় শূন্য পেয়েছিল তাদের সেখানে পাশ করানো হয়েছিল। এরপর প্রশ্ন ওঠে নাইসার ভূমিকা নিয়ে। নাইসা মূলত ওএমআর শিট তৈরির বরাত পেয়েছিল। ফলে সেই সংস্থার ভূমিকা এখন প্রশ্নের মুখে।
সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চ 2016 সালের গোটা নিয়োগ প্যানেলই বাতিল করে দিয়েছে ৷ কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে এদিন এই ঘটনার রায় দেওয়া হয় ৷ একই সঙ্গে, আদালতের তরফে পষ্টভাবে জানানো হয় যে, যারা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছিল তাদের এতদিন সরকারের যে বেতন তারা পেয়েছে, সেই টাকাও ফেরত দিতে হবে। এছাড়াও প্রত্যেক জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যে বা যারা এই ঘুরপথে চাকরি পেয়েছিল বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের শনাক্ত করতে হবে।