কলকাতা, 22 নভেম্বর: মন্দারমণিতে আপাতত কোনও হোটেল ভাঙা যাবে না। শুক্রবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট । বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছেন, আগে রাজ্য ও জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের রিপোর্ট দেখবেন। তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন ।
20 নভেম্বরের মধ্যে মন্দারমণির 148টি হোটেল ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল জেলা প্রশাসন। জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী জেলা প্রশাসন একটি কমিটি তৈরি করে। সেই কমিটি 11 নভেম্বর মন্দারমণিতে নোটিশ জারি করে 148টি হোটেল ভাঙার কথা জানায়। 11 নভেম্বরের সেই নোটিশের উপর শুক্রবার স্থগিতাদেশ জারি করলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আদালত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রশাসন কোনও হোটেল ভাঙতে পারবে না বলে আদালত জানাল। 10 ডিসেম্বর ফের এই মামলার শুনানি হবে । ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন ও জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদকে রিপোর্ট দিতে নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট । হোটেল মালিকদের তরফে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য জানান, হোটেল মালিকদের কোনও বক্তব্য না শুনেই ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল কমিটির তরফে। আগে প্রশাসন কথা বলুক সব হোটেল মালিকদের সঙ্গে। ততদিন পর্যন্ত ভাঙা বা অন্য সমস্ত কাজ বন্ধ রাখা হোক ।
এই কথা শুনে বিচারপতি অমৃতা সিনহার প্রশ্ন, "আইন মেনে কি এই নির্মাণগুলো হয়েছিল ? হোটেলের নির্মাণগুলো কি উপযুক্ত অনুমোদন নিয়ে করা হয়েছিল ? এই প্রসঙ্গে আইনজীবী বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য বলেন, "প্রশাসনের সব স্তর থেকে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। প্ল্যান অনুমোদন থেকে শুরু করে সমস্ত ব্যাপারে অনুমতি নিয়েই এই হোটেল তৈরি করা হয়েছিল।" যদিও এই বিষয়ে জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের আইনজীবীর দাবি, পরিবেশ দফতরের অনুমোদন ছাড়াই হোটেলগুলো চলছে ।
পাশাপাশি রাজ্যের আইনজীবী জানান, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত রাজ্য মন্দারমণির হোটেল ভাঙা নিয়ে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করবে না। উল্লেখ্য, হোটেল ভাঙার নোটিশ জারি হতেই হইচই পড়ে গিয়েছিল মন্দারমণিতে । তড়িঘড়ি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন একাধিক হোটেল মালিক । তবে আপাতত স্বস্তি মিলল হোটেল মালিকদের । আপাতত সকলেই তাকিয়ে 10 ডিসেম্বরের শুনানির দিকে ৷