চণ্ডীতলা, 30 অক্টোবর: বাজি পরিবেশবান্ধব কিনা, তা জানতে প্যাকেটের গায়ে কিউআর কোড থাকা বাধ্যতামূলক ৷ কেন্দ্রীয় সরকারের সংস্থা নিরি (NEERI)-র মাধ্যমে সবুজ বাজি বিক্রির স্বীকৃতি দেওয়া হয় ব্যবসায়ীদের । যার মধ্যে রাজ্যের 232 ও হুগলি জেলায় 41টি বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা রয়েছে ৷ কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাজির প্যাকেটে থাকা কিউআর কোড অচল ৷ তাতে স্ক্যান করলেও কিছু দেখা যাচ্ছে না ৷ স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে না সেটি সবুজ বাজি কিনা ৷
সবুজ বাজির প্যাকেটে কিউআর কোর্ড অচল, বিভ্রান্তিতে ব্যবসায়ী থেকে গ্রাহকরা
দীপাবলিতে সবুজ বাজি কিনতে গিয়ে নাজেহাল ক্রেতা ৷ বাজির প্যাকেটে থাকা কিউআর কোড কাজ না করায় সমস্যায় পড়েছেন বিক্রেতারাও ৷
Published : 4 hours ago
এর ফলে সমস্যা দেখা দিয়েছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে ৷ বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে সবুজ বাজি নিয়ে ৷ তাতেই ক্রেতাদের কাছে গ্রহণযোগ্যতা প্রস্তুতকারক সংস্থা থেকে বাজি ব্যবসায়ীরা ৷ হুগলির চণ্ডীতলা, ধনেখালি-সহ একাধিক জায়গায় বাজির কারখানা রয়েছে । কিউআর কোড কাজ না করায় দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা ৷ এই বিষয়ে নিরির এক আধিকারিক দীপাঞ্জন মজুমদার জানান, এখন কিউআর কোড কাজ করছে না । সবুজ বাজি প্রস্তুতকারকদের নামের লিস্ট কলকাতা পুলিশের কাছে দেওয়া আছে ৷
|
যদিও এ ব্যাপারে বাজি ও ডিজে বিরোধী মঞ্চের সম্পাদক গৌতম সরকারের বক্তব্য, "সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সংস্থা নেরি এই ধরনের কথা বলতে পারে না । তাহলে সার্কুলার জারি করা উচিত তাদের । এই ধরনের আমরা কোথাও শুনিনি । এটা বাজি ব্যবসায়ীদের অপপ্রচার । সবুজ বাজিতেও দূষণ হয় । দিল্লি সরকার ইতিমধ্যেই সমস্ত রকমের বাজি নিষিদ্ধ করেছে । সেক্ষেত্রে কলকাতা, আসানসোল ও শিলিগুড়িতে দিল্লির মতোই দূষণ ৷ আমাদের দাবি, বৃহত্তর কলকাতায় বাজি নিষিদ্ধ করা উচিত । এছাড়াও বাজি শ্রমিকরাও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । তাদের কোনও সামাজিক সুরক্ষা নেই । তাই আমরা দাবি করছি সব ধরনের বাজি নিষিদ্ধ করা হোক ।"