আমডাঙা, 15 জুন: ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার হলেন আরও এক শাসক নেতা । শুক্রবার রাতে তৃণমূল নেতার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ল দুষ্কৃতীরা। তাতেই উড়ে গেল তৃণমূল নেতার বাড়ির চাল ৷ ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়িয়েছে উত্তর 24 পরগনার আমডাঙার বেড়াবেরিয়া অঞ্চলে।
দুষ্কৃতীদের গুলিতে তৃণমূল নেতার বাড়ির ছাদ উড়ে গেল (ইটিভি ভারত) সূত্রের খবর, বোমাবাজির সময় ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা আবদুল হান্নান ওরফে মিন্টু । বরাতজোরে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি । তবে, ঘটনার পর থেকে যথেষ্ট আতঙ্কিত ওই তৃণমূল নেতা । হামলার নেপথ্যে ঠিক কী কারণ রয়েছে তা জানা না গেলেও এর পিছনে বিরোধী দলের হাত রয়েছে বলে মনে করছেন তিনি ৷ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিরোধী শিবির ৷ ঘটনার তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ । ফলে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷
বসিরহাটে তৃণমূল কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আমডাঙার এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল ফেলে দিয়েছে এলাকায় ৷ স্থানীয় সূত্রে খবর, আবদুল হান্নান বর্তমানে তৃণমূলের টোটো ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তাঁর বাড়ি বেড়াবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের হরপাড়া গ্রামে । শুক্রবার গভীর রাতে দলীয় কাজ সেরে বাড়ি ফিরে ঘুমোচ্ছিলেন ৷ সেই সময় হঠাৎ বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা । ঘুম ভেঙে তৃণমূল নেতা দেখেন, বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে । ঘরের ভিতর লন্ডভন্ড । বুঝতে পারেন তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে ৷
বসিরহাটে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী, দেখুন সিসিটিভি ফুটেজ
এরপর তিনি ঘটনাটি পুলিশকে জানান । খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে । তবে কে বা কারা বোমা ছুড়ল তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে । ঘটনাস্থলে কোনও সিসিটিভি ফুটেজ না থাকায় হামলাকারীদের চিহ্নিত করতেও সমস্যা হচ্ছে । পারিপার্শ্বিক তথ্য প্রমাণের উপর ভিত্তি করেই তদন্ত প্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এই বিষয়ে আবদুল হান্নান বলেন, "এর আগেও গ্রামে বোমাবাজির ঘটনা ঘটেছে । কেন শান্ত এলাকায় বারবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে তা পুলিশ খতিয়ে দেখুক । যেভাবে আমার বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়েছে তাতে প্রাণহানিও হতে পারত । অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছি। তৃণমূলে সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই হয়তো বোমাবাজি করা হয়েছে । এছাড়া তো আর কোনও কারণ দেখছি না ।"
যদিও বিরোধী সিপিএম ও বিজেপির তরফে ঘটনার দায় অস্বীকার করা হয়েছে । স্থানীয় সিপিএম নেতা জিয়াউল হকের কথায়,"ভোটে এখানে কোনওদিন রিগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি । তা সত্ত্বেও কেন বারবার বোমাবাজির ঘটনা ঘটছে তা খতিয়ে দেখা উচিত পুলিশ প্রশাসনের । এর সঙ্গে সিপিএমের কোনও যোগ আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হোক । তদন্তের আগে কারও উপর দোষ চাপানো ঠিক নয় ।" স্থানীয় বিজেপি নেতা জয়দেব পাল আবার এই ঘটনার পিছনে শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বের তত্ত্ব খাড়া করেছেন ।
ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত ভাঙড়, তৃণমূল কর্মীকে মারধর; উদ্ধার বোমা