আসানসোল, 30 মার্চ: জনসংযোগে বেরিয়ে হঠাৎই দেখা তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় এবং আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারির। দেখা হতেই পাশাপাশি বসলেন পুরনো দুই বন্ধু। হাতে রইল হাত। উজ্জ্বলবাবু জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিমন্ত্রণ করেন বলেলন, তাঁদের ঘরে যেতে। পালটা জিতেন্দ্রর কথা "ওই ঘরে কি থাকা যায়? ঘরটা ছাড়ুন নিশ্চয়ই আসব।" রাজনীতিতে প্রতিপক্ষ দুই বন্ধুর কথাবার্তায় আর কী উঠে এল, তা নিয়ে চর্চায় এখন রাজনৈতিক মহল।
বিজেপি এখনও প্রার্থী দিতে পারেনি আসানসোলে। অথচ প্রতিদিনই জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। শনিবার আসানসোলের 74 নম্বর ওয়ার্ডে কুলটির মিঠানি গ্রামে একটি গ্রামীণ মেলায় উপস্থিত হয়েছিলেন জিতেন্দ্র। সেখানে মানুষের সঙ্গে কথা বলেন তিনি ৷ ওই ওয়ার্ডেরই কাউন্সিলর কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়। তিনিও গিয়েছিলেন ওই মেলায় ৷ দেখা হতেই জিতেন্দ্র তিওয়ারি, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়কে সম্মান দিয়েই পাশের আসনে গিয়ে বসেন। দু'জনে দীর্ঘক্ষণ হাত ধরে গল্প করেন। জিতেন্দ্র তিওয়ারি তখন বলেন, "আমাদের রোজই রাত সাড়ে 11টার পর কথা হয়। এ আর নতুন কী?"
এরই মাঝে উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় জিতেন্দ্রকে নিজের বাড়িতে যাওয়ার জন্য নিমন্ত্রণ করেন। আর তার উত্তরে জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন "যে বাড়িতে আপনি আছেন, ওখানে কি থাকা যায়? বাড়িটা পালটান। নিশ্চয়ই আসব।" উল্লেখ্য, উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বহুদিন যাবৎ কুলটির চিনাকুড়িতে ছোট্ট ইসিএলের আবাসনে থাকেন। বিধায়ক থাকার সময়ও তাঁর জীবনযাত্রায় কোনও বাহুল্য চোখে পড়েনি। আজও চারচাকা নয়, অন্যের মোটরসাইকেল ঘোরেন। খুব সাধারণ জীবনযাত্রা উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায়ের।