কলকাতা, 20 জুন:লোকসভা ভোটে বঙ্গে শূন্য হাতে ফিরেছে বামেরা। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করেও এবারও খালি হাতে ফিরতে হয়েছে তাদের। একদিকে যেমন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী হেরেছে। অন্যদিকে, সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদে হেরেছেন। আর এই দুই কেন্দ্র-সহ বেশ কয়েকটি আসনে বিজেপির ভোট বেড়েছে। সে কথা ইতিমধ্যে বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিপিএমের দু'দিনের রাজ্য কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
মহম্মদ সেলিম (ইটিভি ভারত) অন্যদিকে, এদিনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, সিপিএমের কারণেই অনন্ত 12টি আসনে বিজেপি হেরেছে। শুভেন্দুর বক্তব্য অনুযায়ী সিপিএমের ভোট তৃণমূলে পড়েছে। তারই পালটা বলতে গিয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক বামের ভোট রামে যাওয়ার তথ্য খাড়া করলেন। সেলিম বলেন, "বহরমপুরে অধীর আর মুর্শিদাবাদে সেলিম হেরেছে। কারণ, বিজেপি ভোট কেটেছে। কিন্তু, মাস্টার মাইন্ডের কথা বলছে শুভেন্দু। বরং, সাহস থাকলে ওরা বলুক সারা দেশে 400 পার করতে পারল না আমাদের জন্য। তাতে আমাদের গর্ব হবে। রাজ্যে তৃণমূলের এত হম্বিতম্বি কী করে ? শুভেন্দুর জন্যই। সে এখন বিজেপিতে গিয়ে বড়বড় কথা বলছে।"
একই সঙ্গে তিনি এও বলেন, "অধীর চৌধুরী হেরেছেন কারণ বিজেপি ভোট কেটেছে। মহম্মদ সেলিম হেরেছে কারণ বিজেপি ভোট কেটেছে বলে। এত আমাদের স্পষ্ট কথা। তাহলে তৃণমূল-বিজেপি একই সুরে কথা বলে ? তৃণমুলকে জিজ্ঞেস করলে বলবে, সিপিএমের জন্য হেরে গেলাম। বিজেপিকে জিজ্ঞেস করলে বলবে সিপিএমের জন্য হেরে গেলাম।"
আজকের বৈঠকের পর সেলিম আরও বলেন, "দু'দিনের বৈঠক শেষ হয়েছে। প্রাথমিক পর্যালোচনাও হয়েছে। আন্দোলনের প্রাথমিক কর্মসূচি তৈরি হয়েছে। অগস্ট মাসের 23, 24, 25 কল্যাণী শহরে পার্টির রাজ্য কমিটির বর্ধিত অধিবেশন হবে। তার আগে বুথ স্তরে কর্মসূচি আলোচনা হবে। পার্টির দরদী, নির্বাচনের খোঁজ খবর রাখেন এমন ব্যক্তিদের সঙ্গেও কথা হবে। তার আগে 28, 29, 30 পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক হবে। জুলাই মাসে অভিযান চলবে। সংগঠনকে আরও দৃঢ় করব আমরা। তফসিলি আদিবাসীদের নিয়ে আন্দোলনও সংগঠন হবে।"
তবে বামেদের ভরাডুবির বিষয়ে সেলিম বলেন, "আমরা এই নির্বাচনে বাম-কংগ্রেসের সমঝোতা আমরা শুধু বিজেপি তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়েনি। আমরা মাসেল পাওয়ার, মিডিয়া, নির্বাচন কমিশন সকলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। ভাড়াটে কোম্পানি গোটা ইলেকশন কন্ট্রোল করেছে। অসম প্রতিযোগিতায় আমার কিছুটা মিথ ভাঙার চেষ্টা করেছি। রামকৃষ্ণ মিশন, থেকে এমন সব কিছু বিষয়কে টেনে আনা হয়েছে যার জেরে ধর্মকে কেন্দ্র করে বাইনারি তৈরি হয়েছে। একারণেই রুটি রুজির প্রশ্ন বেশি গুরুত্ব পেল না।"