কলকাতা, 21 মার্চ: ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক। বিনা আমন্ত্রণে অদ্বৈত পাঠে এসেছে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ তথা প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ৷ এমনটাই দাবি তৃণমূল বিধায়কের। "কতটা অভদ্র হলে এই কথা বলে, এরা সভ্য সমাজের অঙ্গ নয়," পালটা কটাক্ষ বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের।
অদ্বৈত পাঠ এবং সংকীর্তন উপলক্ষে এদিন একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দেশ-বিদেশের বহু ভক্ত উপস্থিত ছিলেন। সেখানে হঠাৎ উপস্থিত হন রানাঘাট কেন্দ্রের প্রাক্তন সাংসদ তথা এবারের বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে। তিনি ভক্তদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ মঞ্চে থাকেন। এরপর যেখানে প্রসাদ বিতরণ হয় সেই জায়গাও প্রদর্শন করেন। এ বিষয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, "সম্পূর্ণ ধর্মীয় কারণে এখানে আমি এসেছি মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিতে। এখানে কোনও প্রচার করতে আমি আসিনি।"
যদিও এদিন এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এবিষয়ে, বিজয় কৃষ্ণ গোস্বামীর বংশধর তথা বর্তমান শান্তিপুরের তৃণমূল বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, "বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে কেউ আমন্ত্রণ জানায়নি। তিনি বিনা আমন্ত্রণে এখানে এসেছেন। তাঁকে সাংসদ থাকাকালীন কখনও দেখা যায়নি ৷ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রচার করার জন্যই তিনি এখানে উপস্থিত হয়েছেন।" যদিও পালটা মন্তব্য করতে দেখা যায় বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারকে।
বিজেপি প্রার্থী বলেন, "ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেতে কোনও আমন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না। যেখানে ধর্ম বলছে সকলকে কৃষ্ণ নাম শ্রবণ এবং প্রচার করতে হয়। আসলে তৃণমূল বিধায়ক কতটা অভদ্র সেটা তাঁর কথাতেই স্পষ্ট। তিনি সভ্য সমাজের কোনও অঙ্গ নন। যিনি গোস্বামী বারিক বংশধর তিনি এই কথা কীভাবে বলেন। আসলে আমার বিষয়ে তাঁর বাবা অনেকটা জানেন। বিধায়ক বাচ্চা ছেলে হয়তো ভুল করে বলে ফেলেছে।"
আরও পড়ুন:
- কম্পার্টমেন্টাল এমপি জগন্নাথ সরকার, কটাক্ষ তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারীর
- বিজেপি সাংসদ-প্রার্থী জগন্নাথ সরকার ছুটলেন রেললাইনের কাজ দেখতে, কৃষ্ণনগর-আমঘাটা উদ্বোধন কবে ?
- লাগু সিএএ, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আনন্দে মেতে উঠলেন জগন্নাথ