বর্ধমান, 5 জুলাই: আনন্দ যে এইভাবে নিরানন্দে পরিণত হবে, কে জানত! সরকারি অফিসে বসে আইবুড়ো ভাতের ভূরিভোজ করার কারণ কী ? তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়তে হল বিডিওকে ৷ প্রশাসনিক কার্যালয়ে এই ঘটনার কারণ জানতে চেয়ে বর্ধমান 1 নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশ কুমারকে শোকজের নোটিশ পাঠালেন জেলাশাসক ৷ অবশ্য এই বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিডিও রজনীশ কুমার ৷
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক কে রাধিকা আইয়ার গোটা বিষয়টি জানতে চেয়ে বিডিওকে শো-কজ করেছেন ৷ একজন প্রশাসনিক আধিকারিক হয়ে একজন বিডিও কীভাবে একজন তৃণমূল নেত্রীকে প্রণাম করেন, সেই বিষয় নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে ৷ বিষয়টি প্রশাসনের একাংশ ভালো চোখে দেখেনি ৷ যদিও এদিন শো-কজের ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি বিডিও রজনীশ কুমার যাদব।
বৃহস্পতিবার, 4 জুলাই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই ভিডিয়োতে দেখা যায় বর্ধমান 1 নম্বর ব্লকের বিডিওর সামনে টেবিলে সাজানো হরেক রকম খাবারদাবার, যাকে মহাভোজের আয়োজন বলাই যায় ৷ তাঁকে মালা পরিয়ে দিচ্ছেন একজন ৷ নিজে হাতে তাঁকে খাবার খাইয়ে দিচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-নেত্রীরা ৷ বিডিও এক তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করছেন ৷ যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায় ৷ যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিষয়টিকে 'সৌজন্য' বলে দাবি করা হয়েছিল ৷
এই ঘটনার কথা স্বীকার করে রজনীশ কুমার জানান, আগামী সপ্তাহে তাঁর বিয়ে ৷ তাই পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে তাঁকে ভালোবেসে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছিল অফিসের একটি ওয়েটিং রুমে ৷ সেখানে পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষরা ছিলেন ৷ তৃণমূল নেত্রী মায়ের বয়সি ৷ তিনি আশীর্বাদ করায় বিডিও তাঁর সংস্কার অনুযায়ী তাঁর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন ৷ এই ভিডিয়ো সামনে আসার পরই সমালোচনা শুরু হয় ৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷