নন্দীগ্রাম, 25 মে: ষষ্ঠ দফার ভোট শুরু হয়েছে বাংলায়। শনিবার সকাল থেকেই ষষ্ঠ দফায় জঙ্গলমহল এবং দুই মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভোট শুরু হয়েছে ৷ সেখান থেকে একের পর এক খবর আসছে। এসবের মধ্যেই রাজ্যবাসীর চোখ নন্দীগ্রামের দিকে। নন্দীগ্রাম লোকসভা নির্বাচনে আলাদা করে কেন গুরুত্বপূর্ণ ! তমলুক লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভা থাকলেও কেন সকলের নজর নন্দীগ্রামের দিকে। লোকসভা ভোটের কয়েকঘণ্টা আগেই রক্ত ঝরেছে এই নন্দীগ্রামে ৷ খুন হয়েছেন বিজেপির স্থানীয় নেতার মা ৷
বিধানসভার আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব সামলানোর শুভেন্দু অধিকারী। 21-এ এই নন্দীগ্রামের মাটিতেই পরাজিত হয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সেই জয়-পরাজয় নিয়ে বিতর্ক আছে ৷ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে বিষয়টি। তবে আজ যখন লোকসভা ভোট চলছে সেখানে দাঁড়িয়ে নন্দীগ্রামে ঘাসফুলের দাপট অনেকটাই ফিঁকে। বরং, এই মুহূর্তে এই লোকসভা নির্বাচন তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য নিজেদের নতুন করে প্রমাণের লড়াই। অন্যদিকে বিজেপিকে প্রমাণ করতে হবে জনগণের সমর্থন শুধু তাদের সঙ্গে রয়েছে তাই নয়, একুশ পরবর্তী সময়ে তা আরো বেড়েছে।
এই লোকসভার আগে পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুরের দুই লোকসভা আসন ৷ তমলুক এবং কাঁথি যেটা বরাবরই তৃণমূলের হাতেই ছিল ৷ বিগত দেড় দশক ধরে যেখানে ঘাসফুলের বার বাড়ন্ত ছিল সেখানে নিজেদের এই গমন করে রাখতে পারবে কি না, তা নির্দিষ্ট করে দেবে এই ভোট। আর সেখানে নন্দীগ্রামই পথপ্রদর্শক। আর সেই কারণেই রাজ্যবাসীর চোখ নন্দীগ্রামের দিকে। 2006 সালের ডিসেম্বরের আগে নন্দীগ্রাম বাংলার মানুষের কাছে ছিল প্রায় অজানা। পরবর্তী সময়ে তৎকালীন বাম সরকারের বিরুদ্ধে জমি আন্দোলন দিয়ে গোটা দেশের নজর কেড়ে নিয়েছিল হলদি নদী তীরবর্তী এই জনপদ। পরবর্তী সময় এই নন্দীগ্রাম রাজ্যের পালা বদলে অন্যতম অনুঘটকের কাজ করেছিল। রাজ্য রাজনীতির ইতিহাসে সেই নন্দীগ্রামের জমি আন্দোলন একটা গুরুত্বপূর্ণ চ্যাপ্টার।