কলকাতা, 27 অগস্ট: রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন পেলেন অন্যতম অভিযুক্ত বাকিবুর রহমান ৷ সেই সঙ্গে এই মামলায় ধৃত আরও দুই অভিযুক্ত বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্য এবং ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেছে নগর দায়রার বিশেষ ইডি আদালত ৷ এই তিনজনের আইনজীবী জাকির হোসেন দাবি করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আর কোনও মামলা নেই ৷ ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই জেল থেকে ছাড়া পাবেন বাকিবুর, শঙ্কর এবং বিশ্বজিৎ ৷
রেশন দুর্নীতি মামলায় জামিন বাকিবুর রহমান, শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসের ৷ (ইটিভি ভারত) রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি প্রথম গ্রেফতার করেছিল বাকিবুর রহমানকে ৷ তাঁর সূত্রেই প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা ৷ পরবর্তী সময়ে জ্যোতিপ্রিয় ঘনিষ্ঠ বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করা হয় ৷ আর সব শেষে ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস ইডি’র ব়্যাডারে আসেন ৷ আজ তিনজনকে 50 লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ড ও 25 হাজার করে মোট 50 হাজার টাকায় দু’জন জামিনদারের শর্তে আবেদন মঞ্জুর করেছে ইডির বিশেষ আদালত ৷
এ দিন জামিনের মামলার শুনানি নিয়ে আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, "চুরি হয়েছে বলে ইডির যে অভিযোগ, তার পক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ ইডির হাতে নেই ৷ একই সঙ্গে আর্থিক দুর্নীতি মামলার আইন অনুযায়ী ইসিআইআর (ECIR) দায়ের করার পর, সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করা উচিত ছিল ৷ কিন্তু, এক্ষেত্রে সেটা করা হয়নি ৷" এই যুক্তিকে বাকিবুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক ৷
অন্যদিকে, শঙ্কর আঢ্য এবং বিশ্বজিৎ দাসের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করার অভিযোগ উঠেছে ৷ যে অভিযোগের ভিত্তিতে ইডি তাঁদের গ্রেফতার করে ৷ কিন্তু, এক্ষেত্রেও ইডি’র হাতে অভিযোগ প্রমাণ করার মতো তথ্য নেই বলে মন্তব্য করেন বিচারক ৷
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতির টাকা এরা বিদেশে অর্থ পাচার করেছেন এবং ভারতীয় অর্থনীতির ভারসাম্য নষ্ট করার চেষ্টা করেছেন ৷ এই অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলে জানান বিচারক ৷ আইনজীবী বলেন, "2023 সালের 16 ডিসেম্বর এসএসকেএম থেকে একটি চিঠি উদ্ধার করেছিল ইডি ৷ সেই চিঠির ভিত্তিতে পরবর্তীতে এই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ কিন্তু, এই মামলায় পরবর্তী সময়ে শুনানিতে তদন্তকারী সংস্থা আদালতে জানায় এই চিঠির উপর তাদের নিজেদেরই ভরসা নেই ৷ ফলে যে চিঠির উপর ইডির নিজেদের ভরসা নেই, সেই চিঠির ভিত্তিতে করা গ্রেফতারও বৈধ হতে পারে না ৷" এরপরেই শঙ্কর আঢ্য ও বিশ্বজিৎ দাসের জামিন মঞ্জুর করা হয় ৷