কলকাতা, 1 ফেব্রুয়ারি: বুধবার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রকাশ করা 2022-এর প্যানেল সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করার আবেদন হাইকোর্টে। বৃহস্পতিবার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজা শেখর মান্থা। সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ ছিল, বিএড ডিগ্রি নিয়োগের ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য না-হলেও ডিএলএড ডিগ্রির চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা যাবে। এরপরেই বিএড এবং ডিএলএড দুই ডিগ্রি থাকা চাকরিপ্রার্থীরা আদালতের দ্বারস্থ হন। মামলার শুনানি শুক্রবার ৷
সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশে বুধবার প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ প্রায় 10 হাজার চাকরিপ্রার্থীর একটা প্যানেল প্রকাশ করেছে। সেই তালিকাকেই চ্যালেঞ্জ করে দায়ের হল মামলা। আইনজীবী ফিরদৌস শামিম বলেন, "যে প্রার্থীদের বিএড ও ডিএলএড দু'টি ডিগ্রিই রয়েছে তাঁদের প্রাথমিক ভাবে বিএড ডিগ্রি মান্যতা না-পাওয়ায় বাতিল করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁদের ডিএলএড ডিগ্রিটাকেও বিবেচনার মধ্যে আনা হয়নি। ফলে তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সেই জন্যই মামলা।"
গত 29 জানুয়ারি 2022 সালের প্রাথমিক নিয়োগ মামলা থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেয় শীর্ষ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ বহাল রাখে সর্বোচ্চ আদালত। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিএড ডিগ্রিপ্রাপ্তদের পক্ষে নির্দেশ দিলেও হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ খারিজ করে দেয়। পরে সেই নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রার্থীরা। সুপ্রিমকোর্ট এরপর নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেয়।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ ছিল প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য বিএড ডিগ্রিধারীরা আবেদন করতে পারবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ডিএলএড পাশ আবশ্যক। তবে 2014 সালের সময় এই বিষয়টি বাধ্যতামূলক ছিল না। ফলে পরবর্তীকালে জটিলতা তৈরি হয়। সেই কারণে 2014-র টেট উত্তীর্ণরা 2020 সালে ডিএলএড কোর্সে ভর্তি হন। এরপর 2022-এর নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময়ে সেই সব চাকরিপ্রার্থীরা মার্কশিট হাতে পাননি। ফলে সেই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীরা চাকরিতে সুযোগ পাবেন কি না, এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের পরে সুপ্রিমকোর্টে মামলা হয়েছিল। এর ফলেই 2022-এর নিয়োগ প্যানেলে স্থগিতাদেশ জারি হয়। সেই স্থগিতাদেশ তুলে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারপরেই বুধবার প্যানেল প্রকাশ করে প্রাথমিক শিক্ষাপর্ষদ।