আলিপুরদুয়ার, 27 সেপ্টেম্বর: ভুয়ো পুলিশ সেজে ভারতে বাজার করতে আসা ভুটানি নাগরিককে অপহরণ করে মুক্তিপন আদায়ের চেষ্টা ৷ ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক দুষ্কৃতীকে।
ভুটান থেকে ভারতের সীমান্তবর্তী শহর জয়গাঁওতে কেনাকাটা করতে এসেছিলেন সেদেশের এক নাগরিক ৷ তাঁকে ভয় দেখিয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এক ভারতীয় নাগরিককে।
ভুটানের ব্যবসায়ীকে অপহরণের চেষ্টা (ইটিভি ভারত) ধৃত ব্যাক্তিকে বৃহস্পতিবার আলিপুরদুয়ার আদালতে পেশ করে ঘটনার আরও তদন্তের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। এই বিষয়ে শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মানবেন্দ্র দাস বলেন, "একজন ভুটানি নাগরিককে ভুয়ো পুলিশ সেজে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের চেষ্টা করা হয়েছিল ৷ আমরা এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছি।"
জানা গিয়েছে, ভুটানের ব্যাবসায়ী সোনাম ছুপেল কেনাকাটা করতে সীমান্ত গেট দিয়ে ভারতের জয়গাঁওতে প্রবেশ করেন। সেখানে এমজি রোডে গাড়ি রেখে কেনাকাটা করতে যান। অভিযোগ, এই সুযোগে জয়গাঁওয়ে চার ব্যাক্তি ওই ব্যবসায়ীর গাড়িটি খুলে ভেতরে তিন কার্টুন নিষিদ্ধ কফ সিরাপ রেখে দূর থেকে নজরদারি চালাতে থাকে ৷ এরপর ওই ভুটানি ব্যাবসায়ী কাজ সেরে তাঁর গাড়িতে ফিরে এলে, ওই ব্যক্তিরা সেখানে হাজির হয়ে নিজেদের পুলিশ বলে পরিচয় দেয় ৷ এরপরই ব্যবসায়ীর গাড়ি তল্লাশিও শুরু করে তারা।
তল্লাশিতে নিজেদেরই রেখে দেওয়া কফ সিরাপ বেরিয়ে আসে। তখন সেই ভুটানি নাগরিককে মাদক পাচার মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথমে 10 লক্ষ টাকা দাবি করে দুষ্কৃতীরা। পরে 4 লক্ষ টাকায় রফা হয়। এরপর ওই ভুটানি নাগরিককে নিজেদের গাড়িতে তুলে জয়গাঁও-এর বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাতে থাকে ৷ মুক্তিপণের টাকা নির্দিষ্ট জায়গায় আনতে যায় অপহরণকারীদের একজন। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনা জয়গাঁও পুলিশ জানতে পেরে অভিযানে নামে ৷ মুক্তিপণ লেনদেনের জায়গায় পৌঁছে অভিযুক্তকে ধাওয়া করে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশের উপস্থিতির খবর পেয়ে ভুটানি নাগরিককে ফেলে পালিয়ে যায় বাকি তিন অপহরণকারী।