পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

টালা সেতুতে এক কিমি হেঁটে বাসস্ট্যান্ড ! বিধানসভার নজরে এনে সমাধান চাইলেন অতীন - TALA BRIDGE BUS STOP

টালা সেতুতে উধাও বাসস্ট্যান্ড ! এর ফলে নিত্যদিন ভোগান্তির মুখে পড়েন বাসিন্দারা ৷ বিষয়টি আজ বিধানসভার নজরে এনে সমাধান চাইলেন অতীন ঘোষ ৷

ETV BHARAT
টালা সেতুতে এক কিমি হেঁটে বাসস্ট্যান্ড ! (নিজস্ব চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 10, 2024, 2:43 PM IST

কলকাতা, 10 ডিসেম্বর:দীর্ঘদিন ধরে জীর্ণ হয়ে পড়ায় শেষমেষ পুরনো টালা সেতু ভেঙে নতুন করে নির্মাণ করা হয় । সেতুর ঠিক মাঝে একটি রাস্তা চিৎপুরে নেমেছে ৷ আগে টালা সেতুর দুই মাথা বাদে মাঝেও একটি বাস স্টপ ছিল, যেটি নতুন সেতুতে আর নেই । আর তার জেরেই ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে । এই সংবাদ করেছিল ইটিভি ভারত । মঙ্গলবার সেই বিষয়টি উল্লেখ পর্বে বিধানসভার নজরে আনলেন কাশীপুর বেলগাছিয়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক তথা কলকাতার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ ।

অতীনের দাবি, নতুন টালা সেতুর কারণে সমস্যায় পড়ছেন তাঁর বিধানসভা এলাকার সাধারণ মানুষ । এদিন তিনি বলেন, টালা সেতু তৈরি হয়েছিল 1939 সালে ৷ কিন্তু স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর 2021 সালে সেতুটি ভেঙে ফেলা হয় । এরপর দু'বছরের মধ্যে নতুন করে তৈরি হয়েছে টালা সেতু । আগের টালা সেতুতে উত্তর ও দক্ষিণমুখী দুটি বাস স্টপ ছিল । কিন্তু নতুন সেতু তৈরির পর এই দুটি বাস স্টপ তুলে দেওয়া হয়েছে । ফলে অসুবিধায় পড়েছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা ।

এখানে শেষ নয়, অতীন ঘোষের কথায়, ওই এলাকায় উত্তরমুখী যে বাস স্টপটি ছিল সেটির উপর নির্ভরশীল ছিলেন ঘোষবাগানের বাসিন্দারা । এখানে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা প্রায় 50 হাজার । এই বাস স্টপ তুলে দেওয়ায় সেখানকার মানুষজনকে এক কিলোমিটার হেঁটে এসে বাস ধরতে হচ্ছে । বাচ্চা, বয়স্কদের এবং অসুস্থ মানুষদের এতে খুব সমস্যা হচ্ছে । বিষয়টি বিধানসভার নজরে এনে যাতে দ্রুত করা হয়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ চেয়েছেন কাশীপুর বেলগাছিয়ার বিধায়ক ।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, "আমি বিষয়টি নিয়ে পরিবহণ মন্ত্রীর সঙ্গে ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি । তিনিও বিষয়টি বাস্তবসম্মত বলছেন । সেই কারণে আমরা ঘোষবাগান এলাকার থেকে উত্তর ও দক্ষিণমুখী একটি বাস রুট তৈরির কথা বলেছি । পরিবহণ দফতরের মন্ত্রী আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন । কিন্তু আমরা চাইছি দ্রুত এই কাজটি করা হোক ।"

এদিন বিধানসভায় এবিষয়ে এই দৃষ্টি আকর্ষণের ফলে আদতেও ওই এলাকার মানুষের পরিবহণের যে অসুবিধা, তার কোনও সুরাহা হয় কি না সেটাই এখন দেখার ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details