আরামবাগ, 8 মে: তফশিলি জাতি-সংখ্যালঘু-দলিতদের বিপক্ষে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারের বিস্ফোরক মন্তব্যে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি ৷ বুধবার আরামবাগে মুখ্যমন্ত্রীর সভা মঞ্চে উঠতে না দেওয়ায় বড় অভিযোগ করলেন দলের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা ৷
এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমের সামনে অভিযোগ করেন, "আমি এখনও দলের সাংসদ ৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও মানুষের আশীর্বাদে আমি দু'বারের সাংসদ ৷ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও হরিপালের দাদা-বৌদির দল আমায় মঞ্চে উঠতে দেয়নি ৷ এরা এভাবেই তফশিলি জাতি, সংখ্যালঘু ও দলিতদের অপমানিত করে ৷" এই ঘনটায় আরও একবার তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে ৷ যদিও শ্রীরামপুরের তৃণমূলের প্রার্থী ও বিদায়ী আরেক সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যয়ের পালটা দাবি, ব্যক্তিগত রাগ মেটাচ্ছেন অপরূপা।
তিনি বলেন, "মঞ্চে কে থাকবেন আর কে থাকবেন না, তা সেখানকার সভাপতি ঠিক করেছেন ৷ সেখানে আমার কোনও ভূমিকা ছিল না ৷ আমি মঞ্চে উঠেছি অনেক দেরিতে ৷ মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা চেক করে আমায় ঢুকেয়িছেন ৷ তালিকায় যাঁদের নাম ছিল, একমাত্র তাঁদেরই ঢোকানো হয়েছে ৷ এখানে আমার কোনও ভূমিকা নেই ৷ সেই তালিকায় অরূপ বিশ্বাসও ছিলেন ৷ তাঁকে প্রশ্ন করলেই সত্যিটা সামনে আসবে ৷ তফশিলি বা সংখ্যালঘু বলে যদি কেউ সহানুভূতি টানার চেষ্টা করেন তাহলে আমার কিছু করার নেই। এদের আমার প্রতি ব্যক্তিগত রাগ রয়েছে। রাগ মেটাচ্ছেন ৷ কিছু এসে যায় না।"
তৃণমূলের প্রার্থী মিতালী বাগের সমর্থনে সভা করতে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত হন আরামবাগের বিদায়ী সাংসদ অপরূপা পোদ্দারও। কিন্তু তাঁকে মমতার সভা মঞ্চে উঠতে দেওয়া হয়নি ৷ তারপর বাধ্য হয়েই সভাস্থল থেকে ফিরে যান অপরূপা। সভামঞ্চে থেকে বিদায় নেওয়ার সময় শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি মন্ত্রী বেচারাম মান্না ও হরিপালের বিধায়ক করবী মান্নার নাম না করে অভিযোগ তোলেন ৷