মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর:রোগীকে মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর পুরসভার বিরুদ্ধে ৷ যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলায় । তড়িঘড়ি মেয়াদ উত্তীর্ণ সমস্ত ওষুধ নষ্ট করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পুরপ্রধান সৌমেন খান । তাঁর কথায়, "এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।"
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়ার অভিযোগ করেছেন খোদ প্রাক্তন পুরকর্মী ৷ তিনি হলেন. মেদিনীপুর পুরসভার অন্তর্গত 11 নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চণ্ডীপ্রসাদ দত্ত ৷
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ (ইটিভি ভারত) তিনি জানান, গত 28 অক্টোবর মেদিনীপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে ডাক্তার দেখান ৷ সেখান থেকেই তাঁর প্রেসক্রিপশনে ওষুধ লিখে দেওয়া হয় । দু'দিন আগে সেই ওষুধ নিতে মেদিনীপুর পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে যান চণ্ডীপ্রসাদ দত্ত । তাঁর অভিযোগ, তাঁকে যে ওষুধ দেওয়া হয় তার মেয়াদশেষ হয়ে গিয়েছে ৷ অর্থাৎ গত মাসেই অতিক্রান্ত হয়েছে ওষুধের মেয়াদ । তিনি ওষুধ নিয়ে আসার পর বাড়িতে এসে দেখেন সেগুলির সবকটির মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে । এই ঘটনায় তিনি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বিষয়টি জানান সংবাদমাধ্যমের কাছে ।
চণ্ডীপ্রসাদ দত্ত বলেন, "আমি ভাগ্যিস ওষুধগুলো খাইনি । হয়তো এরকম ওষুধ অনেকে নিয়ে গিয়েছেন ৷ খেয়েও ফেলেছেন। তাঁদের কী অবস্থা হল সেটাই ভাবছি ৷ আমি বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছি । না-হলে আমার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে পারত ৷"
প্রাক্তন পুরকর্মী এই অভিযোগ করেছেন (নিজস্ব ছবি) চণ্ডীপ্রসাদ দত্ত আরও জানিয়েছেন, তিনি মেদিনীপুর পুরসভায় গিয়ে ফিরে এসেছেন ৷ পুরসভা বন্ধ থাকার কারণে তিনি এখনও লিখিত অভিযোগ জানাননি ৷ পরে অভিযোগ জানাবেন ৷
মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধগুলি (নিজস্ব ছবি) যদিও এ বিষয়ে মেদিনীপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান বলেন, "যাঁকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে তিনি এখনও পর্যন্ত আমাদের কাছে কোনও লিখিত অভিযোগ জানায়নি । আমরা সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে এ বিষয়ে শুনেছি ৷ সঙ্গে সঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । এই ঘটনায় তিনজনের একটি তদন্ত কমিটিও গড়ে দেওয়া হয়েছে । যদি ঘটনার সঙ্গে কেউ জড়িত থাকে, তবে তার বিরুদ্ধে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব ৷ সাসপেন্ড পর্যন্ত করব ।" অন্যদিকে, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর তৎপর হয়েছে মেদিনীপুর পুরসভা ৷ আর কাউকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ দেওয়া হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ কারা কারা এই ওষুধ খেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখছে মেদিনীপুর পুরসভা ।