বংশীহারি, 10 নভেম্বর: দিনে দুপুরে বেআইনিভাবে নদী বাঁধের উপরে থাকা গাছ কাটার অভিযোগ উঠল রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বংশীহারি ব্লকের বাজে কানুর এলাকায় ।
বনদফতরের অনুমতি ছাড়াই গাছ কাটা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ সেই কারণে গ্রামবাসী এবং বাজে কানুর এলাকার একটি ক্লাবের সদস্যরা গাছ কাটার সময় বাধা দেন ৷ সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন অভিযুক্ত রেশন ডিলার প্রভাত চক্রবর্তী-সহ গাছ কাটতে আসা লোকজন ৷ যদিও তিনি দাবি করেন, বন দফতরের অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হচ্ছিল ৷ বিষয়টি অস্বীকার করেছে বন দফতর ৷
মূল্যবান ইউক্যালিপটাস গাছ কাটার অভিযোগ (ইটিভি ভারত) জানা গিয়েছে, বাজে কানুর এলাকার পুরনো নদী বাঁধে 2016 সালে বনদফতরের পক্ষ থেকে প্রচুর ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানো হয় । ওই গাছের পাতা নদী বাঁধের পাশে থাকা জমিগুলোতে পড়ে ৷ সেখানে জমি রয়েছে প্রভাত চক্রবর্তীর ৷ তাঁর দাবি, "নদী বাঁধের পাশে থাকা ইউক্যালিপটাস গাছ আমার জমির ক্ষতি করছিল ৷ সেই জন্য গাছগুলি আমি কেটেছি। সেখানে থাকা লোকজন কেন গাছ কাটায় বাধা দিল? আমি গাছ কেটেছি বলে আমার দোষ হয়ে গেল! আমার কাছে বন দফতরের অনুমতি ছিল । বনদফতরের লোকজন এসে আমার কাছ থেকে কাগজপত্র নিয়ে যান।"
বেআইনিভাবে নদী বাঁধে থাকা গাছ কাটার অভিযোগ (নিজস্ব ছবি) প্রাক্তন বনকর্মী জীবন দেখির কথায়, "2016 সালে বনদফতরের পক্ষ থেকে গাছগুলি লাগানো হয় । সেই সময় আমি এই গাছগুলি দেখাশোনা করতাম । প্রায় তিন বছর পর দেখাশোনার ভার ছেড়ে দিই। শুনেছি, বাঁধের পাশে থাকা জমির মালিক প্রভাত চক্রবর্তী এই গাছগুলি কেটেছেন। যাঁরা গাছগুলি কেটেছে তাঁদের প্রশাসনের পক্ষ থেকে যেন শাস্তি দেওয়া হয় ।"
বেআইনিভাবে নদী বাঁধে থাকা গাছ কাটার অভিযোগ (নিজস্ব ছবি) বুনিয়াদপুরে অবস্থিত কুসপন্ডির ফরেস্ট রেঞ্জার জয়প্রকাশ রায়ের বক্তব্য, "বাঁধের পাশে থাকা বারোটি ইউক্যালিপটাস গাছ কেটে নেওয়া হয়। বুনিয়াদপুরের প্রভাত চক্রবর্তী নামে এক ব্যক্তি এই কাজ করেছেন। গাছ কাটার জন্য তাঁর কাছে বন দফতরের কোনও অনুমতিপত্র ছিল না ।"