রানাঘাট, 2 এপ্রিল: নির্বাচনের আগে রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে বিদায়ী সাংসদ জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠেছে ৷ এমনকি বহুক্ষেত্রে মানুষের মধ্যে বিজেপি সাংসদকে নিয়ে ক্ষোভও রয়েছে ৷ তারই মধ্যে এবার সাংসদের নিজের পঞ্চায়েত এলাকা ও নিজের বুথে বিজেপিতে ভাঙন ধরল ৷ আরবান্দি 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক বুথের বিজেপি সভাপতি ও শক্তি প্রমুখ-সহ 200 জন তৃণমূলে যোগদান করল ৷ রানাঘাটের তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী নিজে তাঁদের যোগদান করান ৷
13 মে চতুর্থ দফায় রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন ৷ যেখানে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের প্রতিপক্ষ তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী ৷ যিনি সম্প্রতি বিজেপি থেকে তৃণমূলে গিয়ে লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেয়েছেন ৷ উল্লেখ্য, এই রানাঘাট লোকসভার অধিকাংশটাই মতুয়া ভোটের উপর নির্ভরশীল ৷ এমনকি জগন্নাথ সরকার এবং মুকুটমণি অধিকারী দু’জনেই মতুয়া সম্প্রদায়ের ৷ ফলে এখানে লড়াইটাও হবে সেয়ানে-সেয়ানে ৷ 2019 লোকসভায় জগন্নাথ সরকার প্রায় 2 লক্ষ 33 হাজার ভোটে জিতেছিলেন ৷ কিন্তু, এবার তাঁর জয়ের পথে বড় কাঁটা একদা বিজেপি নেতা মুকুটমণি অধিকারী ৷
এমনকি যে সব বিজেপি নেতা ও কর্মীরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা জগন্নাথ সরকারের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন ৷ সন্তোষ রাজ বলেন, "আমরা দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে বিজেপি করেছি ৷ তখন থেকে, যখন বিজেপির পতাকা দেখা যেত না ৷ এখানে লোকসভা ভোট থেকে শুরু করে বিধানসভা ও পঞ্চায়েত প্রতিটি ভোটে বিজেপি জয়লাভ করেছে ৷ কিন্তু, একাধিকবার সংগঠন করতে গিয়ে তাঁর দুর্ব্যবহারের শিকার হয়েছি আমরা ৷ আমাদের কোনও কথাকেই গুরুত্ব দিত না ৷ তাই আমরা অবশেষে বাধ্য হয়ে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম ৷"