লিগ টেবিলের তলানিতে ! ধুঁকতে থাকা লাল-হলুদের দায়িত্ব কে নিচ্ছেন ? - East Bengal
East Bengal Coach: টেবিলের 13 নম্বরে নেমে গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল ৷ দায়িত্ব ছেড়েছেন কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ৷ ফলে লাল-হলুদের ভাগ্যাকাশে এখন ঘোর দূর্যোগের ঘনঘটা ৷ সে দূর্যোগ কাটাতে নয়া কোচের খোঁজে নেমে পড়েছে ম্যানেজমেন্ট ৷
কলকাতা, 2 অক্টোবর: ইস্টবেঙ্গলের নতুন কোচ কি অস্কার ব্রুজো ? নতুন কোচের নাম অনেকগুলোই ভাসছে । কার্লেস কুয়াদ্রাত দায়িত্ব ছেড়ে চলে যাওয়ার পরে আপতকালীন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ । 5 অক্টোবর জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচে ডাগ-আউটে থাকবেন তিনি । পরবর্তী ম্যাচ ডার্বিতে বিনো জর্জ লাল-হলুদ কোচের চেয়ারে থাকলেও কোচ খোঁজা চলছে ।
একই সঙ্গে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে । এখনও পর্যন্ত পাঁচজন কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে খবর । তবে প্রথম পছন্দ অস্কার ব্রুজো । কারণ বছর বারো আগে গোয়ার স্পোর্টিং ক্লুব দ্য গোয়ায় কোচিং করিয়েছিলেন তিনি । আইএসএলে মুম্বই এফসি সহকারী কোচের দায়িত্ব সামলেছেন । বাংলাদেশের বসুন্ধরা কিংসকে কোচিং করিয়েছেন । স্প্যানিশে স্বাভাবিকভাবেই সড়গড় । ওপার বাংলায় কাজ করার সুবাদে বাংলা বলতে এবং বুঝতে পারেন । ফলে ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান থাকা এবং ভাষা সমস্যা কাটিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে মিশে যাওয়ার ক্ষমতা ব্রুজোর রয়েছে । তাই লাল-হলুদের ডাগ-আউটে ব্রুজোকে দেখা গেলে অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷
ধুঁকতে থাকা লাল-হলুদের দায়িত্ব কে নিচ্ছেন ? (ইটিভি ভারত)
এদিকে জোরকদমেই চলছে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন । জামশেদপুর এফসি’র বিরুদ্ধে জয়ের ঘুঁটি সাজাতে ব্যস্ত ইস্টবেঙ্গলের নতুন থিঙ্কট্যাঙ্ক বিনো জর্জ । ফুটবলাররাও বাধ্য ছাত্রের মতোই বিনোর পরামর্শ অনুযায়ী নিজেদের প্রস্তুত করছেন । যাতে দ্রুত আঁধার কেটে, আলোয় ফিরতে পারে দল ।কারণ পরিস্থিতি কঠিন তাঁরা বুঝতে পারছেন ৷
আপতকালীন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন বিনো জর্জ (ইটিভি ভারত)
এবারের আইএসএলে প্রথম তিন ম্যাচ পর ইস্টবেঙ্গলের ভাঁড়ার শূন্য । গতকাল চেন্নাইয়িনকে আটকে দিয়েছে হায়দরাবাদ এফসি । তাতে পয়েন্ট তালিকায় অবনতি ইস্টবেঙ্গলের । 12 থেকে 13 নম্বরে নেমে গিয়েছে তাঁরা ৷ অর্থাৎ লিগ টেবিলের তলানিতে লাল-হলুদ ৷ এবার জামশেদপুরের বিরুদ্ধে যদি না-জিততে পারে ইস্টবেঙ্গল, বড় ম্যাচের আগে লিগ তালিকায় তাঁদের উন্নতি হচ্ছে না ৷
অনুশীলন দেখে যেটা বোঝা গিয়েছে, ফুটবলারদের ফিটনেসে জোর দিচ্ছেন বিনো জর্জ । যাতে পুরো দলটা নব্বই মিনিটে এক নাগাড়ে দৌড়তে পারে ৷ শেষ তিন ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের খেলা দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, একেবারে আনফিট দল । একটা ফিট দল কী করতে পারে, তার প্রমাণ মিলেছিল গত মরশুমের সুপার কাপে ৷ অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে ওড়িশা থেকে ফিরেছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ তারপর ফের চোটের কবলে পড়ায় ছন্দ নষ্ট হয় ইস্টবেঙ্গলের । এবারও তাই, চোট ও ফিটনেসের অভাবেই ধুঁকছে লাল-হলুদ ৷ দল পুরোপুরি ফিট করে তোলার প্রচেষ্টায় মগ্ন উয়েফা প্রো-লাইসেন্সধারী কোচ বিনো ।
লিগ টেবিলের তলানিতে ইস্টবেঙ্গল (ইটিভি ভারত)
মঙ্গলবারের প্র্যাকটিসেও অনুপস্থিত মিডফিল্ডার সউল ক্রেসপো, দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তোকোস ও মহম্মদ রাওকিপ । সউলের চোটের রিপোর্টের উপর নির্ভর করছে সবকিছু । দিমি ও রাওকিপদের ক্ষেত্রেও তাই । তাঁরা ফিট না-হওয়া অবধি, তাঁদেরকে খেলানোর ঝুঁকি নেবে না ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট ।তাই জামশেদপুর ম্যাচে এই তিন ফুটবলার যে অনিশ্চিত, তা প্রায় নিশ্চিত । যে কারণে কঠোর পরিশ্রম করছেন ক্লেইটন সিলভা । দেখা গেল, হেক্টর ইউস্তে ও আনোয়ারের বিরুদ্ধে তাঁকে খেলাচ্ছেন বিনো ।
গোলরক্ষক দেবজিৎ মজুমদার বলেছেন, ‘‘জামশেদপুরের বিরুদ্ধে জিতে যাব আমরা ।’’ প্রভাত লাকড়ার মুখেও একই সুর, ‘‘দেখুন আমরা ম্যাচটা জেতার জন্যই তো এত পরিশ্রম করছি । নিজেদের 100 শতাংশ উজাড় করে দেব জামশেদপুরকে হারানোর জন্য ।’’ সুযোগ পাওয়ার আশায় হীরা মণ্ডল । সাইড ব্যাকের সমস্যায় ভুগছে ইস্টবেঙ্গল । যে কারণে তড়িঘড়ি দলে নেওয়া হয়েছে হীরাকে । স্টপার বললেন, ‘‘আশা করছি খেলার সুযোগ পাব । নিজেকে প্রস্তুত রেখেছি, সুযোগ আসলে নিজের সেরাটা দেব ।’