নয়াদিল্লি, 3 অগস্ট: মনু ভাকের, সরবজোৎ সিং ৷ দুই শুটারের কৃতিত্বে অলিম্পিক্সে পোডিয়াম ফিনিশ করেছে ভারত ৷ তারমধ্যেই ফের পদকের খোঁজে প্যারিসে নামছেন ভাকের ৷ ইতিহাসে নাম তোলা মনু-সরবজোতের উপর এখন হাজার ওয়াটের আলো ৷ ঠিক তখনই অন্ধকারের অতলে সমরেশ জাং, মনু-সরবজোতের কোচ ৷ অলিম্পিকে ভারতকে পদক দিয়ে দেশে ফিরেই কেন্দ্রের নোটিশ পেলেন তিনি ৷ তাতে বলা হয়েছে, আগামী 48 ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে বাড়ি খালি করতে হবে ৷
শুটিং সার্কিটে ‘গোল্ডফিঙ্গার’ নামে পরিচিত সমরেশ জাং ৷ 2006 এবং 2010 কমনওয়েলথ গেমসে সাতটি সোনা, পাঁচটি রূপো এবং দু’টি ব্রোঞ্জ পদক জেতা জাংয়ের হাতেই পিস্তল দলের ভার সঁপেছিল সরকার ৷ ইতিমধ্যেই দু’বার পোডিয়াম ফিনিশ করিয়ে ভরসার দাম দিয়েছেন মনুর ‘হেডস্যর’ ৷
1 অগস্ট প্যারিস থেকে তড়িঘড়ি দেশে ফেরেন তিনি ৷ রাজধানীর সিভিল লাইনসের খাইবার পাসের বাসিন্দা সমরেশ ৷ আসার পরেই তাঁকে বাড়ি খালি করার নোটিশ পাঠায় কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমি ও উন্নয়ন অফিস (Land and Development Office) ৷ তাতে বলা হয়েছে, খাইবার পাশ কলোনীটি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের জমিতে অবস্থিত ৷ ফলে তা অবৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে ৷
2008 বেজিং অলিম্পিক্সে অংশগ্রহণকারী ও অর্জুন পুরস্কারপ্রাপ্ত সমরেশ বলেন, ‘‘আমরা 75 বছর ধরে এখানের বাসিন্দা ৷ 1978 সালে জমি এবং বাড়িটি জনৈক সিংকে লিজ দেওয়া হয়েছিল ৷ আমরা তখন থেকে তাঁকে ভাড়া দিয়ে আসছি ৷ এছাড়া রাতারাতি একটা গোটা কলোনী কী করে অবৈধ হতে পারে ? আমি প্যারিস থেকে পৌঁছনোর একঘণ্টা পরেই নোটিশ হাতে পাই ৷’’
এই বাড়ি ছাড়তে হলে ঘরছাড়া হতে হবে সমরেশকে ৷ ‘দেশের’ গলায় মেডেল ঝোলানো জাংয়ের ঠিকানা বলতে একমাত্র খাইবার পাসের এই বাড়িটিই ছিল ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি আইনের ঊর্ধ্বে নই ৷ অবৈধ হলে আমি নিশ্চই বাড়ি ছাড়ব । কিন্তু দু’দিনের নোটিশে কী করে সব করব ? অন্তত দু’মাস সব গুছিয়ে নতুন বাড়ি খুঁজতে লাগবে ৷ এখন আমার কোনও যাওয়ার জায়গা নেই । আমার কাছে 1000টিরও বেশি বইয়ের একটি বিশাল লাইব্রেরি রয়েছে ৷ আমার ভাই বাড়ি খুঁজতে গিয়েছে ৷ সবকিছু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছি ৷’’