কলকাতা, 28 নভেম্বর: আইএসএলে মিনি ডার্বিতে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ন’জন হয়ে গিয়েও মরিয়া লড়াই । ‘মিনি ডার্বি’তে মহমেডানকে আটকে দিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের জমাট ডিফেন্স ৷ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ওই ম্যাচই যেন এখন অনুপ্রেরণা ইস্টবেঙ্গলের ৷ কারণ ? শুক্রবারের ম্যাচে লাল-হলুদের সামনে নর্থ-ইস্ট ৷ আরও বেশি করে বললে আলাদিন আজারাই (Alaaeddine Ajaraie) ৷ যিনি ইতিমধ্যে 11 গোল করে বসে রয়েছেন ৷ ফলে তাঁকে আটকাতেই ব্লু-প্রিন্ট কষছে লাল-হলুদ ৷
মাঝের কুড়ি দিনের বিরতিতে অস্কার ব্রুজো তাঁর দলকে পিছিয়ে পড়া মানসিকতা থেকে তুলে নিয়ে আসতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন । ফুটবলাররাও তাঁর চেষ্টায় সঙ্গ দিয়েছেন । ফলে ইস্টবেঙ্গল এখন শারীরিকভাবে শক্তপোক্ত, মানসিকতাও বদলেছে ৷ ফলে নতুন করে দৌড় শুরু করার কথা লাল-হলুদ হেডস্যারের গলায় । তিনি বলছেন, “শেষ ম্যাচটা ড্রয়ের পিছনে শুধু আমাদের ন’জনের ভূমিকাই ছিল না । মাঠের ন’জনের পাশে গ্যালারির সমর্থকদেরও ভূমিকা ছিল অনেকটাই । ওরা সবসময় পাশে ছিল ।”
গত বছর আইএসএলে ঘরের মাঠে নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডকে পাঁচ শূন্য গোলে হারিয়েছিল । স্মৃতি তৃপ্তি দিলেও তাতে চোখ দিতে চায় না ইস্টবেঙ্গল । ওই ম্যাচে জোড়া গোল করা নন্দকুমারও শুক্রবার কার্ড সমস্যায় নেই ৷ ফলে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে দাঁড়িয়ে জয়ের খাতা খুলতে চায় ইস্টবেঙ্গল । চলতি মরশুমে ডুরান্ড কাপ জয়ের পরে আইএসএলে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ছে জন আব্রাহামের দল । বিষয়টি মাথায় রেখেই দলের প্রতিটি বিভাগের মধ্যে বোঝাপড়ায় খামতি না-রাখায় জোর দিচ্ছে লাল-হলুদ থিঙ্ক ট্যাঙ্ক । প্রতিপক্ষের মরোক্কান স্ট্রাইকারের বলের যোগান বন্ধ করতে চায় ।
লাল-হলুদের হেডস্যর বলেন, “আমরা আলাদিনকে আটকাতে দলগত প্রচেষ্টায় জোর দিচ্ছি । নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাই না । আলদিন যেদিকে যাবে সেদিকের ফুটবলারদের সতর্ক থাকতে হবে । ওকে বেশি জায়গা দেওয়া যাবে না । তবে এটার উপর আমি খুব একটা জোর দিতে চাই না । উলটে আমি ওকে যাঁরা বল সাপ্লাই দেয়, সেই সাপ্লাইটা ভাঙতে চাই । শুধু আলাদিনেই নয়, ওদের আক্রমণভাগের তিন ফুটবলারই গোলের মধ্যে রয়েছে । ওদের নিয়েও ভাবতে হবে ।’’