কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর: ইন্ডিয়ান সুপার লিগের প্রথম ম্য়াচে কার্লেস কুয়াদ্রাত ব্রিগেডের খেলায় হতাশ সদস্য সমর্থকরা ৷ তবে নিরাশ সমর্থকদের কিন্তু আনন্দ দিচ্ছে কলকাতা লিগে বি টিমের ফুটবল ৷ মঙ্গলবার সুপার সিক্সের দ্বিতীয় ম্যাচেও দুরন্ত ইস্টবেঙ্গল ৷ সুরুচি সংঘকে 5-0 গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন 40তম খেতাবের আরও কাছে পৌঁছে গেল ইস্টবেঙ্গল। আমন সিকে'র জোড়া গোলের পাশে একটি করে গোল পিভি বিষ্ণু, জেসিন টিকে, মহম্মদ রোশলের।
14 ম্যাচে 40 পয়েন্ট নিয়ে আপাতত সবার উপরে লাল-হলুদ। দ্বিতীয়স্থানে থাকা ডায়মন্ড হারবার এফসি'র পয়েন্ট 13 ম্য়াচে 35 ৷ চলতি লিগে বাকি দলগুলোর উপর স্টিম-রোলার চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল ৷ এভাবে বাকি কয়েকটা ম্যাচ চললে যে খেতাব নিশ্চিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ ব্যক্তিগত নৈপুণ্যতা নয়, দলগত সংহতিই এই ইস্টবেঙ্গলের ভরসা। ফলত গোল করার জন্য কোনও ব্যক্তি নির্ভরতা নেই বিনো জর্জের দলের।
এদিন 9 মিনিটে জেসিন টিকে'র থ্রু ধরে গোল করে যান আমন সিকে। এরপর নিয়মিত ব্যবধানে গোল করতে থাকে লাল-হলুদ। 17 মিনিটে জেসিন টিকে'র কাটব্যাক থেকে নেওয়া পিভি বিষ্ণুর শট বিপক্ষ এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। প্রথম দুটো গোলের রাস্তা তৈরি করার পরে দলের তৃতীয় গোলটি করেন জেসিন নিজে। চলতি কলকাতা লিগে দ্বাদশ গোলটি করে ফেললেন তিনি। সিনিয়র দলের গোলখরা কাটাতে জেসিনের দক্ষতা কাজে লাগতে পারে কার্লেস কুয়াদ্রাতের।
41 মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের চতুর্থ গোল ফের আমন সিকে'র। সুরুচির দেবজিৎ বসাকের শট দারুণভাবে বাঁচান আদিত্য পাত্র। সেখান থেকেই প্রতি-আক্রমণের শুরু। জেসিন সেন্টার লাইনের কাছ থেকে বল ধরে তা বাঁ-দিকে বাড়িয়ে দেন সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বক্সের মধ্যে ঢুকে মাইনাস করলে গোল করে যান আমন। বিরতির আগে চার গোল হয়ে যাওয়ার সঙ্গেই ম্যাচের ভাগ্য ঠিক হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন করেন বিনো জর্জ। ফলে গোলের স্রোত থামলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হয়নি ইস্টবেঙ্গলের।