কলকাতা, 15 অক্টোবর: আনোয়ার আলি ইস্যুতে 'নাটকে'র যবনিকা পতনের অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল আরও ৷ প্রথমে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষের আইনজীবী আর পূজাবকাশের পর সোমবার শুনানিতে অনুপস্থিত থাকলেন খোদ ফুটবলারের আইনজীবী ৷ ফলত, আবারও পিছিয়ে গেল প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে পিছিয়ে গেল সেই শুনানি ৷ আগামী 23 অক্টোবর পুনরায় সেই শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে ৷ আর শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় 19 অক্টোবর পুরনো দল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডার্বি খেলতে বাধা রইল না ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারের ৷
প্রাথমিকভাবে ফেডারেশেনর প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটিতে গত 30 সেপ্টেম্বর আনোয়ার মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৷ কিন্তু ইস্টবেঙ্গল পক্ষের আইনজীবী অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই শুনানিতে হাজির হতে পারেননি ৷ ফলত পিছিয়ে যায় শুনানি ৷ দিন ধার্য হয় পুজোর পর 14 অক্টোবর ৷ 5 অক্টোবর জামশেদপুরের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে কোনও অসুবিধা হয়নি তরুণ ডিফেন্ডারের ৷
তবে সোমবারও ফের শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় প্রশ্ন উঠছে ফেডারেশনের নিয়ম-নীতি নিয়ে ৷ অথচ 14 অক্টোবর পুনরায় দিন ধার্য করার ক্ষেত্রে কড়া মনোভাবই দেখিয়েছিল তাঁরা ৷ অথচ এদিনও আইনজীবী না-আসায় বিকল্প কোনও ব্য়বস্থাও দেখা গেল না ৷ অথচ শুনানি যত পিছোবে তত খারাপ হবে ইস্টবেঙ্গলের জন্য ৷ কারণ আনোয়ার অন্যায়ভাবে চুক্তি ভঙ্গ করেছেন, তা প্রমাণিত হলে কয়েক ম্য়াচ নির্বাসনে থাকতে হতে পারে তাঁকে ৷
প্রসঙ্গত, মরশুম শুরুর আগে মোহনবাগানের সঙ্গে চার বছরের লোন চুক্তি ভেঙে ইস্টবেঙ্গলে যোগ দেন আনোয়ার। সেই চুক্তি ভঙ্গ অবৈধ, এমন অভিযোগে ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির দ্বারস্থ হয়েছিল বাগান ৷ লাল-হলুদে খেলার ছাড়পত্র দিলেও চুক্তি ভাঙার বিষয়টিকে 'অবৈধ' আখ্যা দিয়ে আনোয়ারকে চার মাসের নির্বাসন এবং দিল্লি এফসি, ইস্টবেঙ্গল ও ফুটবলারকে ওকযোগে 12.90 কোটি টাকা জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়।
এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে যান আনোয়ার, দিল্লি এফসি এবং ইস্টবেঙ্গল। দিল্লি হাইকোর্ট সমস্ত অভিযোগের লিখিত প্রমাণ চাইলেও তা পেশ করতে না-পারায় পিএসসি'র নেওয়া সমস্ত সিদ্ধান্ত বাতিলের নির্দেশ দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। ফের পিএসসি'কে আনোয়ারদের বক্তব্য শোনার নির্দেশ দেওয়া হয় ৷