কলকাতা, 7 সেপ্টেম্বর: রাজনৈতিক বাকযুদ্ধ ৷ তবে তা দু’টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে নয় ৷ এই কথার লড়াই চলছে একই রাজনৈতিক দলের দুই নেতার মধ্যে ৷ তাও এবার শাসক দলের ৷ ফলে শনিবার সকাল থেকেই এই নিয়ে রাজনীতির পারদ চড়ল ঘাটাল থেকে কলকাতা পর্যন্ত ৷
শাসক দলের যে দুই ‘কুশীলব’ এই রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী করেছেন তাঁদের একজন প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ, দ্বিতীয়জন ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী ৷ এ দিন সকালে এই তৃণমূল সাংসদকে নিশানা করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন কুণাল ঘোষ ৷ ঘণ্টাচারেক পরে কুণালকেই নিশানা করে পালটা জবাব দেন দেব ৷
আসলে কুণাল ঘোষ দাবি করেছিলেন যে গত 12 মার্চ ভার্চুয়ালি পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ইউনিটের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ৷ গত 4 সেপ্টেম্বর ওই একই ইউনিটের উদ্বোধন করেন সাংসদ দেব । সেই সময় উদ্বোধকের নামের জায়গায় দেবেরই নাম ছিল৷ মুখ্যমন্ত্রীর নাম ছিল ৷
সোশাল মিডিয়ায় করা পোস্টে এই দাবি করার পর ঘাটালের সাংসদের উদ্দেশ্যে কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন কুণাল ঘোষ ৷ তিনি লেখেন, ‘‘সুপারস্টার একেই বলে । এলাকার মানুষ তো অবাক! অভিনন্দন দেব ৷’’
কুণাল ঘোষ তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে এই পোস্টটি করেছিলেন শনিবার সকাল 10টা 18 মিনিটে ৷ ঠিক চার ঘণ্টা পর দুপুর 2টো 18 মিনিটে ওই পোস্টটি রিপোস্ট করেন দেব ৷ সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘নমস্কার কুণালদা, আমি দিদিকে (মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়) অনুরোধ করেছিলাম ঘাটাল হাসপাতালে ডায়ালিসিস ও সিটি স্ক্যান মেশিনের জন্য ৷ সেটা দিদি মার্চ মাসে ভার্চুয়ালি ঘোষণা করেন । এক সপ্তাহ আগে মেশিনগুলো আসে ৷ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অনুরোধে আমি এই মেশিনগুলো উদ্বোধন করি, যাতে সাধারণ মানুষ ঘাটাল হাসপাতালের এই ডায়ালিসিস পরিষেবার ব্যাপারে জানতে পারে ।’’
এর পর ওই পোস্টে দেব আরও লেখেন, ‘‘আমার মনে হয় এর ফলে কোনও মুখ্যমন্ত্রী, সাংসদ, সুপারস্টার বা মুখপাত্র নয়, সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে । ধন্যবাদ তোমাকে, তোমার মাধ্যমে এই পরিষেবার কথা আরও অনেকের কাছে পৌঁছে গেল ।’’
একই সঙ্গে দেবের সংযোজন, ‘‘শেষে একটাই কথা বলব, আমরা যে পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি, তাতে তথ্য যাচাই না করে সোশাল মিডিয়ায় মন্তব্য না করাই ভালো ।’’ তার পর তিনি আরও লেখেন, ‘‘আরেকবার সকলকে জানিয়ে রাখি, ঘাটাল সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে ডায়ালিসিস-এর পরিষেবা আরম্ভ হয়ে গিয়েছে ৷ এখন আর আপনাদের কোনও বেসরকারি হাসপাতাল বা কলকাতার কোনও হাসপাতালে ছুটে যেতে হবে না এবং সিটি স্ক্যান-এর পরিষেবা এই মাসের শেষ থেকেই কার্যকরী হয়ে যাবে । সবার মঙ্গল হোক !’’