কাঁথি, 23 মে: পূর্ব মেদিনীপুরের রাজনীতির কথা বললেই 'অধিকারী' পরিবারের কথা সবার আগে আসবে ৷ এই পূর্ব মেদিনীপুরকে বাংলার রাজনীতিতে 'অধিকারী গড়' বলা হয় ৷ তা গত বিধানসভায় বিজেপির টিকিটে নন্দীগ্রাম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে প্রমাণ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৷ সেই পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে আরও একবার 'অস্তিত্বরক্ষার' লড়াই ৷ যেখানে বিজেপির প্রার্থী বিরোধী দলনেতার ছোট ভাই সৌমেন্দু অধিকারী ৷ বিদায়ী সাংসদ তথা বাবা শিশির অধিকারীর জায়গায় লড়াই করছেন তিনি ৷
তবে, 2019 লোকসভায় এই কাঁথি লোকসভা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের ৷ তাই রাজ্যের শাসকদলের লক্ষ্য জেতা আসনে 'অস্তিত্বরক্ষা' করা ৷ যে লড়াইয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভরসা রেখেছেন পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের উপর ৷ এই দুইয়ের দ্বৈরথের মাঝে টিমটিম করে জ্বলছেন, বাম সমর্থিত কংগ্রেসের জোটপ্রার্থী উর্বশী বন্দ্যোপাধ্যায় ভট্টাচার্য ৷ তবে, জোটপ্রার্থী উর্বশী কতটা সুবিধা করতে পারবেন, তা নিয়ে সংশয় আছে ৷ কিন্তু, 'অস্তিত্বরক্ষার' লড়াইয়ে কাঁথির কুর্সিতে কে বসতে পারেন ? তারই খোঁজ নিল ইটিভি ভারত ৷
আরও পড়ুন:ঘাটালের কুর্সি দখলের লড়াইয়ে দেব-হিরণ, ফুটবে কোন ফুল ?
কাঁথি লোকসভার সাতটি বিধানসভা হল, রামনগর, কাঁথি দক্ষিণ, কাঁথি উত্তর, খেজুরি, পটাশপুর, ভগবানপুর ও চণ্ডীপুর ৷ 2009 সাল থেকে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিন বারের সাংসদ শিশির অধিকারী ৷ বড় ছেলে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যেতেই, শিশিরও রং-বদলান ৷ সরকারিভাবে দলবদল না-করলেও, বিজেপির মঞ্চে তাঁকে একাধিকবার দেখা গিয়েছে ৷ বিশেষত, শুভেন্দুর দলবদলের সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন ৷ তবে, বিজেপির পতাকা হাতে নেননি ৷ কিন্তু, এবার শিশির অধিকারীর আসন থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন তাঁর ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারী ৷
অধিকারী 'গড়' হিসেবে বিখ্যাত কাঁথিতে তাই নয়া চ্যালেঞ্জ বিজেপি তথা শুভেন্দুর ৷ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং তাঁর ভাইয়ের কাছে চ্যালেঞ্জটা হল, তাঁদের প্রমাণ করতে হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ায় নয় ৷ আগে শিশির অধিকারী এবং এখন শুভেন্দু অধিকারীকে দেখে সেখানকার মানুষ ভোট দেয় ৷ সেখানেই পটাশপুরের বিধায়ক উত্তম বারিকের চ্যালেঞ্জটা ঠিক উলটো ৷ তাঁকে জিতে প্রমাণ করতে হবে, কাঁথিতে অধিকারী পরিবারের জনপ্রিয়তা শুধুমাত্র তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ছিল ৷