গৌরী শঙ্কর মামিদি, সিনিয়র প্রযুক্তি বিশ্লেষক
ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ছায়ায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে আলোচনা অনুমানমূলক ফিকশনের থেকে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ৷ এই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে মানুষের দুর্বলতা এবং ত্রুটির বিরুদ্ধে এআইয়ের সীমাহীন সম্ভাবনার সংমিশ্রণ । আমরা যখন এআই যুগের গভীরে প্রবেশ করি, তখন সবচেয়ে গুরুতর ঝুঁকি এবং পুরস্কারগুলি উন্মোচিত হয়, যা বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করে প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দেশগুলিকে নতুন ধরনের ঠান্ডা যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করায় ।
এআই ব্যবহারে বিপদ
এআই প্রযুক্তির বিস্তারে বিপদের ঝুঁকি থাকে ৷ সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঝুঁকিগুলির মধ্যে অন্যতম হল ডিপফেক ৷ অত্যাধুনিক ডিজিটাল জালিয়াতির দ্বারা বাস্তবতা এবং কল্পকাহিনীর মধ্যে তফাৎ অস্পষ্ট হয় ৷ এর ফলে ডিজিটাল যোগাযোগের উপর আস্থা নষ্ট হয় । এআই-চালিত ক্রিপ্টোগ্রাফি এবং সাইবারসিকিউরিটি অ্যাপ্লিকেশনগুলি মিলিত হয়ে ম্যানিপুলেশনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়, যা বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা এবং তথ্য অখণ্ডতার জন্য অভূতপূর্ব চ্যালেঞ্জ তৈরি করে ।
বিশ্বব্যাপী আলোচনা এবং হাইপার গ্লোবালাইজেশন
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) এবং অনুরূপ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি হাইপার-গ্লোবালাইজেশনে এআইয়ের ভূমিকা নিয়ে আলোচনাকে উৎসাহিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । এই ফোরামগুলি বিশ্ব অর্থনীতিতে এআইয়ের সংযুক্তি পরিচালনা করার জন্য একটি সমন্বিত পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেয়, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনা এবং বৈষম্য বৃদ্ধির ঝুঁকি উভয়ই তুলে ধরে ।
ওয়ারফেয়ারে এআই: একটি দ্বিফলা তলোয়ার
এআইয়ের সামরিক প্রয়োগ, বিশেষ করে অগমেন্টেড রিয়েলিটি (এআর) এবং ভার্চুয়াল রিয়েলিটি (ভিআর) যুদ্ধের মাধ্যমে প্রতিরক্ষা কৌশলে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে । যদিও এই প্রযুক্তিগুলি কৌশলগত সুবিধা প্রদান করে, তবে তাদের ব্যবহার নৈতিক প্রশ্ন উত্থাপন করে এবং একটি এআই অস্ত্র প্রতিযোগিতার আভাস তৈরি করে, যা আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করে তোলে । ডব্লিউইএফ এবং অন্যান্য সংস্থাগুলি স্বায়ত্তশাসিত অস্ত্রের ঝুঁকি হ্রাস করার জন্য নির্দেশিকার আহ্বান জানিয়েছে ৷