রবিবার প্রয়াত হয়েছেন প্রাক্তন মডেল ও অভিনেত্রী হেলানা লিউক ৷ এই বিশিষ্ঠ অভিনেত্রী সাত ও আটের দশকের দাপিয়ে কাজ করেছেন ৷ অমিতাভ বচ্চন অভিনীত মর্দ সিনেমা তাঁকে জনপ্রিয়তার শিকড়ে পৌঁছে দেয় ৷ যদিও তাঁর কেরিয়ার, প্রাক্তন মডেল-অভিনেত্রী কিন্তু তিনি চর্চিত হচ্ছেন তাঁর বৈবাহিক জীবন নিয়ে ৷ সম্প্রতি দাদাসাহেব ফাল্কে প্রাপ্ত মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে সাতপাক ঘুরেছিলেন তিনি ৷ যদিও মাত্র কয়েক মাস স্থায়ী হয়েছিল বৈবাহিক জীবন ৷ জেনে নিন, মিঠুনের প্রাক্তন স্ত্রীর কিছু অজানা তথ্য ৷
মডেলিং-এর হাত ধরে কেরিয়ার শুরু: হেলেনা লিউক মডেল হিসাবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন ৷ পরে তিনি এই মডেলিং-এর খ্যাতি অর্জন করেন ৷ তিনি সাত-এর দশকের শেষের দিকে ইন্দো-ইউরোপীয় বৈশিষ্ট্যের জন্য ফ্যাশন দুনিয়ার সারা ফেলে দেন তিনি ৷
বলিউডে আত্মপ্রকাশ: হেলেনা অমিতাভ বচ্চন অভিনীত 1985 সালের মর্দ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তাঁর বলিউডে আত্মপ্রকাশ হয় । শুরুটা ভালো হলেও আশানুরূপ ফল মেলেনি ৷ কিছুদিন অভিনয়ের পর ইন্ডাস্ট্রি থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি ৷ তাই তাঁর বলিউড দুনিয়া অল্পদিনের জন্য স্থায়ী হয় ৷
মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে বিবাহ:হেলেনা লিউক আট-এর দশকের গোড়ার দিকে মিঠুন চক্রবর্তীকে বিয়ে করেছিলেন ৷ কিন্তু এটিও তাঁর জীবনের স্বল্পস্থায়ী ছিল । ব্যক্তিগত মতপার্থক্যের কারণে তাঁরা চার মাসের মধ্যে আলাদা হয়ে যান এবং মিঠুন কিছুদিন পরেই অভিনেত্রী যোগিতা বালিকে বিয়ে করেন । একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে হেলেনা মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে চার মাসের বিবাহ সম্পর্ককে হেজি ড্রিম হিসাবে বর্ণনা দিয়েছিলেন ৷
হেলেনা ও অভিনেতা বিজয়েন্দ্র বিবাদ: 1987 সালের অগস্ট মাসে একটি জনপ্রিয় ফিল্ম ম্যাগাজিনের একটি পার্টিতে দেখা হয়েছিল বিজয়েন্দ্রর সঙ্গে ৷ তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক হয় ৷ পরে এই সম্পর্ক গল্প হিসাবে প্রকাশ করেন ৷ জানা গিয়েছে, সেই সম্পর্কও ভেঙে যায় ৷ একদিন অভিনেতা সম্পূর্ণ মাতাল অবস্থায় রেজার ব্লেড নিয়ে হেলেনার পিছনে এসেছিলেন । পরে একটি গ্লাসের সাহায্যে তাঁকে আঘাত করেন এবং অভিনেতা সরে যান ৷ বিজয়েন্দ্র ঘটনাটি অস্বীকার করেন ৷
যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দেওয়া:তাঁর বলিউড এবং মডেলিং দিনগুলির পরে, হেলেনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান ৷ যেখানে তিনি লাইমলাইট থেকে দূরে আরও ব্যক্তিগত জীবন কাটাতে চেয়েছিলেন । অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি আমেরিকান এয়ারলাইন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন বলে জানা গিয়েছে । তিনি তখন থেকে একটি লো প্রোফাইল বজায় রেখেছিলেন ৷ তারপর থেকে খুব কমই জনসমক্ষে উপস্থিত হতেন ।
শেষ সোশাল মিডিয়া পোস্ট: যদিও তাঁর মৃত্যুর কারণ এখনও অজানা ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় হেলেনার শেষ পোস্ট, "কীরকম একটা অস্বস্তি অনুভূতি হচ্ছে ৷ জানি না কেন ৷ খুব কনফিউসড লাগছে ৷"