রায়গঞ্জ, 23 অক্টোবর:সর্বত্র যখন দুর্গাপুজোর আনন্দ শেষ, তখন উত্তর দিনাজপুরের গ্রামে শুরু হয় অকাল আরাধনা ৷ দুর্গানবমীর আটদিন পর প্রথম মঙ্গলবারে রায়গঞ্জের করণদিঘীর সিঙ্গারদহে শুরু হয় দুর্গাপুজো ৷ সোনামতি কুম্ভরানি দুর্গাপুজো পুজো শুরুর ইতিহাসও অবাক করার মতো ৷
বৌমার রূপ দেখে থ ! দুর্গার অকালবোধন নবমীর আট দিন পরের মঙ্গলে
দুর্গাপুজো শেষ বলে মনখারাপ ? বছর ঘোরার আগেই ফের ঢাকের বোলে পুজোর আনন্দে সামিল হতে চাইলে আপনার গন্তব্য হোক উত্তর দিনাজপুরের এই গ্রাম ৷
Published : Oct 23, 2024, 6:21 PM IST
শোনা যায়, 500 বছর আগে পুজো প্রচলনের সময় এই গ্রামে কুমোরদের বাস ছিল ৷ তখন বিজয়া দশমীতে পাশের গ্রামে মেলা দেখতে যাওয়ার জন্য সাজগোজ করছিলেন কুম্ভরানি নামে গ্রামেরই এক নববধূ ৷ এদিকে তাঁর জন্য অন্যান্যরা বাইরে অপেক্ষা করছিলেন ৷ অনেকক্ষণ দেরি হচ্ছে দেখে বধূর শ্বশুর বাইরে থেকে হাঁক পেড়ে বলেন, "তুমি কি দুর্গাপ্রতিমার মতো সাজছো, যে এত দেরি হচ্ছে ?" এরপরও দীর্ঘক্ষণ সাড়াশব্দ না পেয়ে তাঁর ঘরের দিকে গিয়ে দেখেন বৌমা কুম্ভরানি স্বয়ং দেবীদুর্গার রূপ ধারণ করে আছে ৷ তখন কুম্ভরানির আদেশ অনুসারে এই দুর্গাপুজোর সূচনা হয় ৷
গ্রামবাসীদের বিশ্বাস, এই পুজোর মধ্যে দিয়েই সিঙ্গারদহ গ্রামকে সব বিপদ থেকে রক্ষা করেন দেবী কুম্ভরানি ৷ পুজোকে ঘিরে পাঁচদিন ব্যাপী গ্রামে মেলাও বসে ৷ প্রতি বছর দুর্গানবমীর আটদিন পর প্রথম মঙ্গলবারে এই গ্রামে দুর্গাষষ্ঠী পালিত হয় ৷ সেই দিন থেকে চারদিন অর্থাৎ, শনিবার বেলা পর্যন্ত চলে পুজো ৷ এরপর বিকেলে প্রতিমা বিসর্জন করা হয় ৷ এই পুজোকে ঘিরে চারদিন উৎসবে মেতে ওঠেন সিঙ্গারদহ-সহ আশপাশের গ্রামের লোকজন ৷ বহু দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসেন এই পুজো দেখতে ৷ সকলেই অপেক্ষা করে থাকেন সোনামতি কুম্ভরানির পুজো দেখার জন্য ৷