কৃষ্ণনগর, 7 নভেম্বর:বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। দুর্গাপুজো, লক্ষ্মীপুজো, দীপাবলি, ভাইফোঁটার রেশ কাটতে না-কাটতেই শুরু বাঙালির আরও এক আবেগের উৎসব, জগদ্ধাত্রী পুজো। আর রাজ্যের কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরে বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো ৷
আজ ষষ্ঠী ৷ প্রায় 132 বছর ধরে পুজো করে আসছে নুড়িপাড়া বারোয়ারি। কৃষ্ণনগরের এই বারোয়ারির বিশেষত্ব হল চন্দননগরের মতোই চার দিনব্যাপী পুজো করা হয় মা জগদ্ধাত্রীকে। সেই কারণেই মায়ের নাম চারদিনি মা।
নুড়িপাড়া বারোয়ারির পুজো (ইটিভি ভারত) কেন চারদিনি মা-
জগদ্ধাত্রী পুজোর কাহিনী কৃষ্ণনগরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে অতপ্রোতভাবে। রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আমল থেকে এই পুজো চলে আসছে। রাজ্যের নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর এবং হুগলি জেলার চন্দননগরেই সাধারণত জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়। তবে বর্তমানে প্রায় সমস্ত জেলাতেই ছোট, বড় আকারে জগদ্ধাত্রী পুজো করা হয়ে থাকে। সাধারণত চন্দননগরের চার দিনব্যাপী জগদ্ধাত্রী পুজো হলেও কৃষ্ণনগরে করা হয়ে থাকে একদিনই। তবে ব্যতিক্রম নুড়িপাড়া বারোয়ারির চারদিনি মা।
পুজো কীভাবে হয়-
প্রায় 132 বছর ধরে পুজো করে আসছে নুড়িপাড়া বারোয়ারি। মায়ের পুজো শুরু হওয়ার পরে এই পুজো চলবে নবমী পর্যন্ত মোট চার দিন। এই চারদিন রাত জেগে ঠাকুর দেখা, খাওয়া-দাওয়া, সব কিছু নিয়েই মেতে থাকেন মানুষ। তারপরে ঘট বিসর্জন এবং প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে মায়ের বলে জানা যায় পুজো কমিটির পক্ষ থেকে।
নুড়িপাড়া বারোয়ারির পুজো উদ্যোক্তা প্রশান্ত সিংহ জানান, পুরো কৃষ্ণনগরে এটি একটি ব্যতিক্রমী পুজো। জগদ্ধাত্রী পুজো কৃষ্ণনগরে নবমীর দিন হয়ে থাকে অর্থাৎ একদিন হলেও এই পুজো চার দিন ধরে করা হয় ৷ এবারে কেদারনাথের আদলে মন্দির তৈরি করা হয়েছে ৷ এখানকার মায়ের মূর্তি সিংহবাহিনী ৷ গা-জুড়ে ডাকের সাজ ৷ এবারে পুজোর বাজেট প্রায় 5 লক্ষ ৷
পুজোর চার দিনব্যাপী একাধিক কর্মসূচি ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন নুড়িপাড়া বারোয়ারি পুজো কমিটি। এছাড়াও নবমীর দিনে বারোয়ারিতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দর্শনার্থীদের দুপুরবেলা খাওয়ানোর ব্যবস্থা প্রতিবছরই থাকে বলে জানা যায়।