শিশুর ছয়মাস বয়স পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধেই পুষ্টি পায় ৷ এইসময় সন্তানকে কী খাওয়ানো দরকার তা নিয়ে মায়েদের চিন্তা কম থাকে ৷ এরপর চিন্তা শুরু হয় ছয়মাসের পর থেকে ৷ কারণ ছয়মাস পর শিশু ভাত খাওয়ার পালা শুরু হয় ৷ ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রি বণিক বলেন, "তারপর থেকে কী কী খাওয়ানো দরকার, তার একটা রুটিন হওয়া খুব জরুরি ।"
তিনি জানান, এইসময় শিশুর বিভিন্ন শরীরে সমস্যা হতে পারে ৷ বিশেষ করে হজমে ৷ সেক্ষেত্রে কিছু টিপস মেনে চলা জরুরি ৷ একেবারে বেশি খাবার না খাওয়ানো ৷ তিন থেকে চার ঘণ্টার গ্যাপে খাওয়া প্রয়োজন ৷ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন কোনও খাবারে কিছু সমস্যা হচ্ছে কি না ৷ তবে অবশ্যই সময় মেইনটেন করা প্রয়োজন ৷
এইসময় যেহেতু শরীরের সমস্যা বেশি শুরু হয় তাই প্রথমেই মাংস দেওয়ার প্রয়োজন নেই ৷ মাছ বা ডিম দেওয়ার আগে ডাল ভাত বিশেষ করে মুসুরি ডাল খাওয়ার অভ্যাস করে নেওয়া ৷ আরও খাওয়ানো প্রয়োজন গাজর, মিষ্টি আলু, কুমড়ো ইত্যাদি ৷ এগুলি আপনি সেদ্ধ করে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন ৷
ডায়েটিশিয়ান বলেন, "এইসময় বাচ্চার ইমোশন কাজ করে ৷ খাওয়ার সময় জোর করে খাওয়ানো উচিত নয় ৷ কারণ বাচ্চার মুড সবসময় সমান থাকে না ৷ তাকে সময় দেওয়া প্রয়োজন ৷ এরজন্য যদি পরিমাণে একটু কম খায় তাতে অসুবিধার নেই ৷ সলিড ফুড খাওয়ানোর পরে জল খাওয়ানো খুব প্রয়োজন ৷"