কলকাতা, 27 জানুয়ারি: হিন্দি ধারাবাহিক 'ঝনক'-এ নেগেটিভ রোলে অভিনয় করছেন ঋষি কৌশিক। বাংলা ধারাবাহিকে তাঁর ক্রেজ, আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না ৷ 'একদিন প্রতিদিন' থেকে 'ইষ্টি কুটুম', 'কুসুম দোলা', 'কোরা পাখি' একের পর এক হিট ধারাবাহিকের রোম্যান্টিক নায়ক ঋষি। বাংলা ছবি 'ক্রান্তি'র পর ভিলেন ইমেজে 'ঝনক' তাঁর দ্বিতীয় সফর। চরিত্রের নাম 'তেজাস'। এই চরিত্রে তাঁকে বেছে নেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় স্বয়ং। সেখানেই বাজিমাত।
হিন্দি ধারাবাহিকে যেভাবে ঋষি কৌশিককে নেতিবাচক চরিত্রে দেখা গিয়েছে, বাংলাতেও কি তাঁকে দেখা যাবে তেমন কোনও চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে? লেখিকা লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে ইটিভি ভারতের তরফে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , "একেবারেই না। কারণ বাংলার মানুষ ওঁকে এই ইমেজে মেনে নেবে না। ওকে হিরো ভাবে বাংলার মানুষ। আমার কলম থেকে বাংলায় ওকে আমি ভিলেন বানাতে পারব না। এখন অন্য কেউ লিখলে ঋষি করবে কি না ওর ব্যাপার।"
তেজাসকে প্রথমে টিভির পর্দায় দেখে ফ্যান ফলোয়ারদের মনক্ষুণ্ণ হয় বৈকি। কিন্তু তেজাস হিসেবে তাঁকে দিব্যি মানিয়েছে এই সুখ্যাতি করতেও পিছপা হয়নি তাঁর ভক্তকূল। এই কথা নিজেই জানিয়েছেন ঋষি কৌশিক। তিনি বলেন, "আমি জানি ওরা এতদিন ধরে আমাকে এক ভাবে দেখে এসেছে। আমার এক ধরনের ইমেজ ওদের মধ্যে রয়ে গিয়েছে। তাতে একটা ধাক্কা খেয়েছে। আবার ওদের মধ্যে অনেকে এমনও বলেছেন যে আমাকে খুব মানিয়েছে। এতে বুঝলাম আমি একটা সলিড ইমেজ তার মানে তৈরি করেছি। ইমেজ বানাতে পারলে তবেই ভাঙা যায়। এর একটা আলাদা মজা আছে। এই কারণেই আমি খুশি। "
'ঝনক' এই মুহূর্তে পাঁচ নম্বরে রয়েছে হিন্দি ধারাবাহিকের রেটিং রেটে। বাংলার লেখিকার কলমে হিন্দি ধারাবাহিক পেয়েছে জনপ্রিয়তা। এ যেমন বাংলার জয়, তেমনই বাঙালির জয়। বাংলার 'মনসা মঙ্গল' থেকে সাঁওতালি নৃত্য, ছৌ-নাচ সবই দেখানো হয়েছে এবং হবে এই ধারাবাহিকে। লীনা গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, "প্রথমে মনসা মঙ্গলের বাংলা গান গল্পে নিয়ে আসায় অনেকে নাক উঁচু করেন। পরে দেখা যায় ওই এপিসোডটা লোক বেশি দেখেছেন। হলুদ শাড়ি পরে সেজেগুজে গানের দৃশ্য মন কেড়ে নেয় দর্শকের। বাংলা গান ব্যবহার করেছি আমি ধারাবাহিকে। ভাষা না বুঝলেও দর্শকের ভালোলেগেছে গোটা বিষয়টা। সবথেকে বেশি প্রশংসিত হয়েছে মনসা মঙ্গলের গানের দৃশ্য।"
লীনা গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, "অনেকে মনে করছেন আমি উড়ে গিয়ে জুড়ে বসেছি। কিন্তু আমি তো ডাক পেয়ে তারপরে গিয়েছি। অনেকে বলেন, আমি তাঁদের বাজার খারাপ করছি। কী এমন আছে আমার গল্পে যে এত হিট। আমি বলি সেটা আমি কী করে বলি। প্রযোজকের ভরসা জোগাতে পেরেছি কলমের মাধ্যমে এখানেই তৃপ্তি।"