হায়দরাবাদ, 18 ফেব্রুয়ারি: 14 বছর পর পরিচালনায় ফিরলেন কিরণ রাও ৷ এর আগে তিনি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন 'ধোবিঘাট'-এর মতো ছবি ৷ এবার আসছে 'লাপাতা লেডিস' ৷ আপাতত ছবির প্রচারে ব্যস্ত পরিচালক কিরণ ৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কিরণ বলেন, "আমার স্ট্রাগল এখনও চলছে ৷ 10-12 বছর ধরে লিখে চলেছি ৷ আমি সিনেমার জন্য গল্প লিখতাম ৷ এমনকী ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্যও গল্প লিখেছি ৷ কিন্তু কোনও কারণ বশত আমি মন থেকে এই কাজ করে ভালো থাকতে পারছিলাম না ৷"
তিনি বলেন, "যখন ধোবি ঘাট মুক্তি পায় তখন আমি সদ্য মা হয়েছি ৷ সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত ছিলাম ৷ কীভাবে সময় কেটে গিয়েছে বুঝতে পারিনি ৷ তবে লেখা ছাড়িনি ৷ আমি আমির খানের প্রযোজনা সংস্থার জন্য লিখে চলেছিলাম ৷ মুম্বই চলচ্চিত্র উৎসবেও কিছুটা অবদান আমার রয়েছে ৷ আর এই সবকিছুর মধ্যে ছবি বানানোর যে ইচ্ছে তা পিছনে পড়ে গিয়েছিল ৷ কারণ আমি সময় করে চিত্রনাট্যই তৈরি করতে পারছিলাম না ৷"
কিরণ আরও জানান, 2018 সালে আমিরের হাতে একটা চিত্রনাট্য আসে ৷ তিনি একটি স্ক্রিনরাইটিং কম্পিটিশনের বিচারক ছিলেন ৷ এবং লাপাতা লেডিসের গল্প ভালো লাগে আমিরের ৷ এই গল্প প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার জিতে নেয় ৷ লিখেছিলেন বিপ্লব গোস্বামী ৷ সেই চিত্রনাট্য পড়ে আমারও ভালো লাগে ৷
ছবিতে তুলে ধরা হয়েছে নতুন বিয়ে হওয়া দুটি মেয়ের জীবন ৷ যাঁরা কোনও কারণবশত বিয়ের পর নিজের পরিবারের সঙ্গে আলাদা হয়ে যায় ৷ কীভাবে তাঁদের সন্ধান মেলে, কেন তাঁরা হারিয়ে যায় ইত্যাদি নানা বিষয়ের সঙ্গে পরিচালক গল্পে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন নারীশক্তিকে ৷
2001 সালে মধ্যপ্রদেশের প্রেক্ষাপটে তুলে ধরা হয়েছে 'লাপাতা লেডিস' ৷ যখন মোবাইল ফোনের ব্যবহার ছিল বিলাসিতা আর নেটমাধ্যম এত সহজে মিলত না ৷ সেখানে একজন পুলিশ অফিসার এই মিসিং কেস সমাধানে নামেন ৷ কেন এই জায়গা তুলে ধরা হয়েছে ? জবাবে কিরণ বলেন, "আমরা ছবির শুটিংয়ের জন্য একাধিক জায়গা ঘুরেছি ৷ বিহার, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, এমনকী মহারাষ্ট্রও ৷ কিন্তু চিত্রনাট্যের চাহিদা অনুযায়ী আমাদের মধ্যপ্রদেশের বেশ কিছু এলাকা পছন্দ হয় ৷ আর এখানকার সরকার ও পর্যটন দফতর ভীষণভাবে পাশে ছিল ছবির শুটিংয়ের কারণে ৷"