কলকাতা, 17 জানুয়ারি: 'মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার' আয়োজিত সপ্তম জাতীয় নাট্য উৎসব শুরু হতে চলেছে 18 জানুয়ারি থেকে। চলবে 26 জানুয়ারি অবধি। 18 জানুয়ারি মধুসূদন মঞ্চে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। থাকবেন ব্রাত্য বসু-সহ মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরাও।
বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মোট 112টি আবেদন পত্র জমা পড়েছে। এ রাজ্যের 10 জন প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্বদের নিয়ে একটি বিচারকমণ্ডলী তৈরি করে মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র। তাঁরাই বেছে নেন সেরা নাটকগুলি। যেগুলি দেখানো হবে এই জাতীয় নাট্য উৎসবে। এই ব্যাপারে ব্রাত্য বসু স্পষ্ট জানান, "নাটক নির্বাচনের ক্ষেত্রে মিনার্ভার কোনও হাত নেই। জুরিরাই বেছে নিয়েছেন সেরা নাটকগুলিকে।"
মধুসূদন মঞ্চ এবং গিরিশ মঞ্চ মিলিয়ে চলবে এবারের জাতীয় নাট্য উৎসব। 2015 সালে প্রথম জাতীয় নাট্য উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ভাবনার অভিনবত্বে এই নাট্যোৎসব এক নজির সৃষ্টি করেছে দেশের বুকে। এই রাজ্য-সহ বাইরের রাজ্যেরও বহু নাট্যদল তাদের প্রযোজনা দেখানোর সুযোগ পায় এখানে। এবার বাইরের রাজ্য থেকে দশটি দল এবং এই রাজ্য থেকে সাতটি দলের নাটক মঞ্চস্থ হবে বলে জানিয়েছেন প্রখ্যাত নাট্যকার তথা শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বাইরের রাজ্যের মধ্যে রয়েছে অসম, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কর্ণাটক। সুতরাং বাংলা, হিন্দি, কন্নড়, মারাঠি সব ভাষারই নাটক কলকাতায় বসে দেখার সুযোগ রয়েছে দর্শকের জন্য। নাট্যোৎসবে প্রবেশ অবাধ।
নাটকের তালিকা (ইটিভি ভারত) পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্যান্য রাজ্যের মোট 17টি নাটক দেখানো হবে এবার, যেগুলি বিশেষ জুরি বোর্ডের চুলচেরা বিচারের মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়েছে। 17টি নাটকে তালিকায় রয়েছে 'স্মলটাউন জিন্দেগি' (হিন্দি), 'চওথি সিগারেট' (হিন্দি), 'চাই গরম' (অসমিয়া), 'ঘণ্টাখানেক সঙ্গে গোলক' (বাংলা), 'চন্দ্রহাটের কুটীর' (বাংলা), 'রূপলীম' (অসমিয়া), 'শেক্সপিয়ার মাস্ট ডাই' (বাংলা), 'দাগাদ আনি মাটি' (মারাঠি), 'জাদু মন্তর' (হিন্দি), 'নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ' (বাংলা), 'একদিন মন্দিরে যাওয়ার পথে', 'ম্যাকবেথ' (মাল্টিলিঙ্গুয়াল), 'ব্লাডি বম্বে' (হিন্দি), 'পারিজাত' (কন্নড়), 'দ্য জু স্টোরি' (হিন্দি), 'নেপথ্য মে শকুন্তলা' (হিন্দি), 'মায়াপরী' (বাংলা)
প্রসঙ্গত, মিনার্ভা নাট্যসংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্রের পরিচালন কমিটি নাট্য প্রযোজনার পাশাপাশি নাট্য পিপাসু দর্শক, নাট্য শিক্ষার্থী, নাট্যের সর্বাঙ্গীন বিকাশের স্বার্থে আয়োজন করে নাট্য আলোচনা চক্র, প্রশিক্ষণ শিবির ও নাট্যোৎসব।