হায়দরাবাদ, 18 সেপ্টেম্বর:মঙ্গলবার প্রকাশিত প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের একটি রিপোর্ট (EAC-PM), ভারতীয় রাজ্যগুলির অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতাতে উল্লেখযোগ্য বৈষম্য তুলে ধরেছে । কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা, কেরল এবং তামিলনাড়ুর মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলি ভারতের জিডিপিতে অন্যতম প্রধান অবদানকারী হিসাবে উঠে এসেছে ৷ পাশাপাশি, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্য, যা একসময় অর্থনৈতিকভাবে যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল, সেটি বিগত কয়েক দশকে ধারাবাহিকভাবে বিস্ময়কর পতনের সাক্ষী হয়েছে ৷
ভারতের জিডিপিতে দক্ষিণের রাজ্যগুলির অবদান 30 শতাংশ:
1991 সালে, দক্ষিণের পাঁচটি বড় রাজ্যের মাথাপিছু আয় জাতীয় গড় তুলনায় কম ছিল । তবে, ভারতের অর্থনীতির উদারীকরণের ফলে দ্রুত আর্থিক বৃদ্ধির মুখ দেখেছে এই রাজ্যগুলি । 2024 সালের মার্চ নাগাদ, ভারতের জিডিপিতে এই রাজ্যগুলির অবদান 30 শতাংশ ছিল। কর্ণাটকের বিকাশমান প্রযুক্তি ক্ষেত্র এবং তামিলনাড়ুর শিল্প কেন্দ্রগুলির কাঁধে ভর করে ভারতের জিডিপির এই বৃদ্ধিতে দক্ষিণের রাজ্যগুলি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে ৷ 2014 সালে গঠিত ভারতের সর্বকনিষ্ঠ রাজ্য তেলেঙ্গানাও উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ক্ষমতা দেখিয়েছে, যা ভারতের অর্থনীতিতে একটি প্রধান বিকাশমান কেন্দ্র হয়ে উঠছে ।
পশ্চিমবঙ্গের ধারাবাহিক অর্থনৈতিক পতন:
কিন্তু এর সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি ধরা পড়েছে পশ্চিমবঙ্গে ৷ একসময় (1960-61 সালে) ভারতের জিডিপিতে অবদানের নিরিখে শীর্ষে ছিল বাংলা ৷ ছয় দশক আগে দেশের জিডিপিতে পশ্চিমবঙ্গের অবদান ছিল 10.5 শতাংশ, যা এখন মাত্র 5.6 শতাংশে নেমে এসেছে । এই রাজ্যের বাসিন্দাদের মাথাপিছু আয়, যা একসময় জাতীয় গড়ের 127.5 শতাংশ ছিল, তা বর্তমানে 83.7 শতাংশে নেমে এসেছে । এই পতন বাংলাকে রাজস্থান এবং ওড়িশার মতো রাজ্যগুলির চেয়েও নীচে নামিয়ে এ নেছে, যেগুলি প্রথাগতভাবে জিডিপির নিরিখে পিছিয়ে রয়েছে । ওই কেন্দ্রীয় প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, "পশ্চিমবঙ্গ কয়েক দশক ধরে তার আপেক্ষিক অর্থনৈতিক ক্ষমতায় ক্রমাগত পতনের সম্মুখীন হয়েছে ।"